জীবননগরের সুটিয়া গ্রামে গৃহবধূ তহমিনার এক সাথে ৪ সন্তানের জন্মদান
জীবননগর ব্যুরো: জীবননগরে একসাথে জন্ম নেয়া ৪ শিশুর মধ্যে ৩ জনের জন্য উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। উপজেলার সুটিয়া গ্রামের জিয়াউর-তহমিনা দম্পতি গতকাল মঙ্গলবার তাদের তিন নবজাতক জুম্মান-জুবায়ের-জুনিয়াকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা) সার্কেল জাকিয়া সুলতানা ও জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জাবীদ হাসান সুটিয়া গ্রামে জিয়াউর রহমানের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে জমজ তিন ভাই-বোনের জন্য আর্থিক সহায়তাসহ উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।
জীবননগর উপজেলার সুটিয়া গ্রামের জিয়াউর রহমানের স্ত্রী তহমিনা খাতুন গত ৪ অক্টোবর যশোরের একটি হাসপাতালে একসাথে চার সন্তানের জন্ম দেন। ৪ সন্তানের মধ্যে ২টি ছেলে ও ২টি মেয়ে জন্ম নেয়। এদের নাম রাখা হয় যথাক্রমে জুম্মান, জুবায়ের, জিনিয়া ও জুনিয়া। এর মধ্যে জুনিয়া গত ২২ অক্টোবর মারা যায়।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তাসহ তিন সন্তানের জন্য দুধ, জামা-কাপড় ও ফল উপহার দেয়া হয়েছে। এ সময় কুশলাদি বিনিময়সহ তাদের শারীরিক খোঁজখবর নেয়া হয়। বাঁকা ইউপি চেয়রাম্যান আব্দুল কাদের প্রধান খবর পেয়ে গতকাল বিকেলে জুম্মান-জুবায়ের-জুনিয়াকে দেখতে যান। এ সময় তাদের জন্য ৫ হাজার টাকা উপহার প্রদান করেন।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ সাংবাদিকদের বলেন, তহমিনার জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যে ১০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, জীবননগর উপজেলার সুটিয়া গ্রামের তহমিনা খাতুন গত ৪ অক্টোবর একসঙ্গে চার সন্তান প্রসব করেন। তাদের নাম রাখা হয় যথাক্রমে জুম্মান, জুবায়ের, জুনিয়া ও জিনিয়া। এদের মধ্যে জিনিয়া গত ২২ অক্টোবর অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যায়। হাসপাতাল থেকে জুম্মান-জুবায়ের-জুনিয়াকে নিয়ে সুটিয়া গ্রামের জীর্ন কুঠিরে ফেরেন দরিদ্র কৃষক জিয়াউর-তহমিনা দম্পতি। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার তাদের খোঁজ-খবর নেন এবং উপহার সামগ্রী প্রেরণ করেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়, কিন্তু ট্র্যাকব্যাক এবং পিংব্যাক খোলা.