দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদায় নাশকতা মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সাবেক এমপি মাওলানা হাবিবুর রহমানের পুত্র ও শ্যালকসহ জামায়াত-বিএনপির ৭জন নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার দিনগত রাতে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনিত চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দামুড়হুদা উপজেলার লোকনাথপুর গ্রামের প্রয়াত মাওলানা হাবিবুর রহমানের পুত্র জামায়াত কর্মী মোস্তফা জামাল (৫০), সাবেক এমপির শ্যালক একই গ্রামের মৃত কাতেব আলী বিশ্বাসের ছেলে জামায়াত কর্মী ফজলুল হক লেলিন (৬২), আব্দুল মমিনের ছেলে জামায়াত কর্মী সজল হোসেন (২৮), একই গ্রামের মৃত আকরাম আলীর ছেলে বিএনপি সমর্থক আকবার আলী (৫৭), মৃত হামজার শেখের ছেলে আমির হোসেন (৫৮), মৃত আনারুল ইসলামের ছেলে বিএনপি সমর্থক মহাসীন আলী (৪০) এবং একই উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৫)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই শেখরচন্দ্র মল্লিক জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি-২০২৩ ইং তারিখ রাতে জামায়াত-বিএনপির ৪০/৫০ জন কর্মী সমর্থকরা দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ফুটবল মাঠে সরকার বিরোধী গোপন বৈঠক করছে এমন সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকসদল সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান পরিচালনাকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ৫ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। ওই ঘটনায় পুলিশ জামায়াত-বিএনপির ২২ জন নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনের নামে স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট এর ১৫(৩)/২৫(ডি) ধারাসহ বিষ্ফোরক দ্রব্য আইন এর ৪/৬ ধারায় মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় প্রথম দফায় ৫ জনকে এবং দ্বিতীয় দফায় ৮ জনকে আটক করে জেলাহাজতে পাঠায়। এজাহারনামীয় ২২ জনই বর্তমানে জামিনে আছেন। মামলায় অজ্ঞাত নামাদের মধ্যে গত মঙ্গলবার রাতে উল্লেখিত ৭ জনকে আটক করে থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আলমগীর কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক ৭ জনের মধ্যে ৪ জন বিএনপির এবং বাকী ৩ জন জামায়াতের সক্রিয় কর্মী-সমর্থক।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ