প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে : পতিতা পল্লীতে বিক্রির অভিযোগ

আলমডাঙ্গায় বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন দুই সন্তানের জননী

স্টাফ রিপোর্টার: প্রেম করে দ্বিতীয় বিয়ের ফাঁদে ফেলে দুই সন্তানের জননীকে পতিতা পল্লীতে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে আলমডাঙ্গা হৈদারপুর গ্রামের রিংকুর বিরেুদ্ধে। বর্তমানে বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রতারণার শিকার অসহায় দুই সন্তানের জননী। ওই সন্তানের জননী আলমডাঙ্গা উপজেলার একটি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা। রিংকু আলমডাঙ্গা হৈদারপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ওই নারী জানান, স্বামী সংসার ছেড়ে বাবার বাড়িতেই বসবাস করতেন তিনি। সংসারের স্বচ্ছলতা আনতেই কাজ করতেন ইটভাটায়। সেখানেই গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে পরিচয় হয় আলমডাঙ্গা হৈদারপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে রিংকুর সাথে। দুজনের মধ্যে তৈরি হয় প্রেমের সম্পর্ক। রিংকু বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর ঘরজামাই থাকতো রিংকু। বিয়ের পর মেয়ের ভবিষ্যত চিন্তা করে মেয়েকে নিজ স্বামী সংসারে যেতে বললে তাদের সম্পর্ক অবনতির দিকে যেতে থাকে। রিংকু রাগ করে নিজ বাড়ি হৈদারপুর চলে যায়। উভয় পরিবারের সদস্যদের সম্মতিক্রমে রিংকু ওই নারীকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই আর মেয়ে সাথে যোগাযোগ হয়নি বলে ওই নারীর মা। তিনি বলেন, প্রায় দুমাস পর মেয়ের খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারে তাদের মেয়ে সেখানে নেই। কোথায় গেছে তা কেউ জানে না। আমাকে অপমান অপদস্থ করে বের করে দেয়া হয়। আমি বাদি হয়ে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করি। মামলার অল্প কিছুদিনের মাথায় নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে আমার মেয়ে হঠাৎ বাড়ি ফিরে আসে। সারা শরীরসহ চোখে মুখে ছিলো নির্যাতনের ছাপ। সেদিনই ভর্তি করা হয় আলমডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এরপর রিংকুকে অভিযুক্ত করে ঢাকার পথে যেতে যেতে অজ্ঞান হওয়া থেকে শুরু করে পতিতা পল্লী থেকে পালিয়ে আসা পর্যন্ত পুরো ঘটনার বর্ণনা করেন ওই নারী। মামলার তদন্ত ভার পরে পিবিআইয়ের হাতে। পিবিআই ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মাহাবুবুর রহমান জানান, স্বামী রিংকুকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এদিকে ওই নারী পিতা অভিযোগ করে বলেন, মামলা করার পর থেকেই রিংকুসহ তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি দিয়ে আসছে। কাঁদো কাঁদো গলায় তিনি বললেন, আমি খুব অসহায় হাটতে গেলেও কষ্ট হয়। এর মধ্যেই গত সপ্তাহে আমাকে অটোরিকশা থেকে ওদের (রিংকু) বাড়ির সামনে নামিয়ে নিচ্ছিলো, লোকজনের বাধার মুখে তা পারেনি। আমি গরিব মানুষ আমার একটা সুষ্ঠু বিচার চাই। অপরদিকে অভিযুক্ত রিংকুর বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। রিংকুর পিতা মনিরুল ইসলাম জানান, আমার ছেলে তার প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করছে। সে একটি ভুল কাজ করেছিলো ওই মেয়েকে বিয়ে করে। আমরা এর সমাধান করেছি ওই মেয়েকে তালাক দিয়েছি। তালাকের প্রমাণপত্র আমাদের কাছে আছে। আমার ছেলের নামে যে মামলা দেয়া হয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More