নিখরচায় বিচার প্রার্থীদের আস্থা বৃদ্ধিতে আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন

চুয়াডাঙ্গা আইনগত সহায়তা কমিটির মাসিক সভায় জেলা ও দায়রা জজ

স্টাফ রিপোর্টার: লিগ্যাল এইড’র মামলাগুলোর দ্রুত ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে প্যানেল আইনজীবীগণকে আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ তথা জেলা আইনগত সহায়তা কমিটির সভাপতি মো. জিয়া হায়দার বলেছেন, বিচার প্রার্থীদের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধিতে সকলকেই আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। গতকাল রোববার বিকেল ৪টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইনগত সহায়তা কমিটির মাসিক সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি জেলা ও দায়রা জজ। উপস্থিত থেকে মতামত দেন জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল জজ মুসরাত জেরীন, ভারপ্রাপ্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লস্কর সোহেল রানা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আবু তারেক, জেল সুপারডেন্টেন, জেলার জিপি অ্যাড. আশরাফুল আলম খোকন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ফজলে রাব্বী সাগর, অ্যাড হেলাল উদ্দীন, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব সভাপতি সরদার আল আমিন, প্রথম আলো প্রতিনিধি শাহ আলম সনিসহ জেলা আইনগত সহায়তা কমিটির সদস্যগণ। সভার শুরুতে সভাপতির অনুমতিক্রমে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ মো. সাইফুদ্দীন হোসাইন সভার কর্যিবিবরণী পেশ করেন। প্যানেলভুক্ত আইনজীবীগণের বিল অনুমোদন করা হয়। ২২ মামলা নিষ্পত্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করা হলেও মামলা রুজুর পর পরই আপোষ শর্তে যে ১১টি মামলা প্রত্যাহার হয়েছে তা ক্ষতিয়ে দেখারও তাগিদ দেন সভার সভাপতি। কীভাবে মামলা হয়েছে, কীভাবে আপোষ হয়েছে তা দেখে পরবর্তি সভায় উপস্থাপন করতে বলা হয়। সভার সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, বিলবোর্ডের মাধ্যমে প্রচার প্রচরণা অব্যাহত রয়েছে। সমাজের পিছিয়ে পড়া হতদরিদ্র্য পরিবারের যে কোন সদস্যই সম্পূর্ণ নিখরচায় বিচার পাওয়ার জন্য আইনগত সহায়তা কমিটিতে আবেদন করতে পারেন। প্রয়োজনীয় খরচের জোগান দেয় সরকার। বিনা খরচে বিচার প্রার্থীদের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি করতে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক প্রচার প্ররোচনায় জোর দিতে হবে। যেসব মামলা আইন সহায়তা কমিটির মাধ্যমে বিচার প্রার্থী, এসব মামলা পরিচালনায় নিযুক্ত প্যানেল আইনজীবীগণ বিশেষ যত্মবান হয়ে দ্রুত ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার মাধ্যমেও মুখে মুখে প্রচার পাবে। তাতে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ বিনাখরচে বিচার পাওয়ার জন্য আগ্রহী হবেন। সরকার এটাই প্রত্যাশা করে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More