স্টাফ রিপোর্টার: সৌদি আরবে বিগত বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হজের আনুষ্ঠানিকতা রোববার শুরু হয়েছে। তপ্ত আবহাওয়া উপেক্ষা করে এদিন মুসল্লিরা মিনার উদ্দেশে রওয়ানা দেন। সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এ বছর আমরা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হজের সাক্ষী হব। এবার ১৬০ দেশের ২৫ লাখের বেশি মুসল্লি হজ পালন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনার কারণে ২০২০ সালে মাত্র ১০ হাজার, ২০২১ সালে ৫৯ হাজার এবং ২০২২ সালে ১ লাখ মুসল্লি হজে অংশ নিয়েছিলেন।
এদিকে এবার হজের মরসুমটা পড়েছে তীব্র গরমের মধ্যে। মুসল্লিদের প্রায় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হচ্ছে। এই গরমে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে যেন তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া যায় সেজন্য ৩২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
স্বাভাবিক সময় গাড়িতে মিনায় পৌঁছুতে ২০ মিনিট লাগে। কিন্তু হজ মরসুমে রাস্তায় তীব্র যানজটের কারণে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায়। পবিত্র মসজিদুল হারাম (কাবা শরিফ) থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মিনা। হজযাত্রীরা নিজ নিজ তাঁবুতে নামাজ আদায়সহ অন্যান্য ইবাদত করবেন। মিনায় অবস্থান করা পবিত্র হজের অংশ। আজ ৮ জিলহজ তারা মিনায় অবস্থান করে মঙ্গলবার ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে যাবেন এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। এরপর প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় গিয়ে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন। ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে মিনায় ফিরবেন।
৬৫ বছর বয়সি মিসরীয় আবদেল-আজিম তাওয়াফ বলেন, আমি আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর দিন পার করছি।
হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যার পর বাংলাদেশের প্রায় ১ লাখ ২২ হাজারের বেশি হজযাত্রী পবিত্র মিনার উদ্দেশে রওয়ানা করেছেন। এতসংখ্যক হজযাত্রীকে পবিত্র মক্কা থেকে মিনায় নিয়ে যাওয়া একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব হজযাত্রীকে মিনায় নিয়ে যাওয়ার কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।