স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় আচমকা শীতকালের মতো কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারিদিক। গতকাল রোববার ভোর থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকেছিলো জেলা শহর। সকালে গরম অনুভূত হলেও এমন কুয়াশার কারণ খুঁজছিলেন জেলার অনেকেই। ভোর থেকে কয়েক ঘণ্টা এমন অবস্থা ছিলো চুয়াডাঙ্গায়। বাতাসে জলীয় বাষ্প বৃদ্ধির কারণে অকস্মাৎ এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তারা জানান, আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয় এই কুয়াশা। চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন এলাকার মুদি ব্যবসায়ী মাহফুজ হোসেন বলেন, ‘আমি রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রতিদিন দোকানে বেচাকেনা করি। ভোর ৫টার পর অনেকটা হঠাৎ করে কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে রেলস্টেশন ও তার আশপাশ এলাকা। বাইরে দেখে মনে হচ্ছিলো শীত কালের মতো কুয়াশা।’ চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার কলেজছাত্রী আফসানা সোজি বলেন, ‘ঘুম থেকে উঠে বাইরে দেখি কুয়াশা। প্রথমে ভাবছিলাম আকাশে মেঘ জমার কারণে এমনটি দেখা যাচ্ছে। পরে বুঝলাম কুয়াশায় ঢেকে আছে আশপাশ এলাকা।’ চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৮৯ ভাগ। চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ কুয়াশা পড়ার ব্যাপারে জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. জাহিদুল হক বলেন, ‘গত কয়েকদিন এলোমেলো বৃষ্টি হয়েছে। তাই বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ কারণেই চুয়াডাঙ্গায় আকস্মিক কুয়াশা দেখা দিয়েছে। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয় এই কুয়াশা।’ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান মিলন বলেন, ‘সকালে কুয়াশা ছিলো। এই কুয়াশা মানেই আবহাওয়ার পরিবর্তন। এমন পরিবর্তন হলেই বুঝতে হবে কোনো জীবাণু বাড়তে পারে, আবার কমতেও পারে। এমন পরিস্থিতিতে কুয়াশা থেকে শিশুদেরকে নিরাপদে রাখতে হবে। বড়দের ব্যাপারেও বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন আছে, বিশেষ করে যাদের শরীরে অ্যাজমা বা ঠা-াজনিত কোনো সমস্যা আছে।’
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ