প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত করা হবে দেশ
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফের্স কমিটির সদস্য ও কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা
স্টাফ রিপোর্টার: নিজের শরীরে মারণরোগ ক্যান্সারসহ প্রাণঘাতি বহু রোগের কারণ তামকজাত দ্রব্যের ব্যবহার ও প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ধুমপান। ফলে যে কোন মূল্যে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নির্মূল করতে হবে। সমাজ গড়তে হবে ধূমপানমুক্ত। অতিরিক্ত সচিব স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (আইন অনুবিভাগ) ও সমন্বয়কারী তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের শীর্ষ কর্মকর্তা হোসেন আলী খোন্দকার এ অভিমত ব্যাক্ত করে বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক ২০৪০ সালের মধ্যে ধূমপানমুক্ত দেশ গড়তে হবে।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তামক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফের্স কমিটির সদস্য ও কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তামক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খন্দকার উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, তামাক ব্যবহারে যেমন মানব শরীরের জন্য মরাত্মক ক্ষতিকর, তেমনই তামাক চাষেও জমির উর্বরতা বিনষ্টের অন্যতম কারণ। ফলে তামাক চাষে কৃষকদের যেমন নিরুৎসাহিত করতে হবে, তেমনই আইন প্রয়োগের মাধ্যমে পাবলিক প্লেসে ধুমপান বন্ধে বিরামহীন অভিযান চালাতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পাশাপাশি সমাজে সচেতনতার আলো ছড়িয়ে পারিবারিকভাবে প্রজন্মকে ধূমপানমুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দ্যা ইউনিয়ন কনসালটেন্ট যুগ্ম সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। তিনি তামাকের ভয়াবহ ক্ষতিসহ শুধুমাত্র তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারে কত হাজার মানুষকে অসুস্থ হয়ে নিশ্ব হতে হচ্ছে তার চিত্র তুলে ধরে সমাজের সচেতন মহলকে তামাক বিরোধী গণজাগরণ সৃষ্টির গুরুত্ব তুলে ধরেন। কর্মশালায় প্রামান্য চিত্রসহ বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবীর হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন ) আবু তারেক। আয়োজনের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ক্বারী কবীর হোসেন ও পবিত্র গিতা থেকে পাঠ করে সুনীল মল্লিক। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের ৪টি ভাগে ভাগ করা হয়। ৪টি ভাগের নামকরণ করা হয় সম্প্রতি এক দরিদ্র পরিবারে আসা ৪ কন্যার নামকরণে দোয়েল, কোয়েল, ময়না ও টিয়া। অংশগ্রহণকারীদের নিকট থেকে লিখিত প্রস্তাবনা গ্রহণসহ তা নিয়ে পর্যালোচনাও করা হয়।