দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভবন আছে সেবা নেই

প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি জনবল সঙ্কটে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে চিকিৎসা

হাবিবুর রহমান হবি: ৩১ শয্যা বিশিষ্ট দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার প্রায় ৮ বছরেও শুরু হয়নি ৫০ শয্যার কার্যক্রম। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ও জনবল না থাকায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না এলাকার মানুষ ও রোগীরা। ৩১ শয্যার হাসপাতালে ১০জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও মাত্র তিনজন দিয়ে চলছে এখানকার চিকিৎসা কার্যক্রম। ফলে কাক্সিক্ষত সেবা না পেয়ে বেশির ভাগ মানুষই ছুটছেন উপজেলার বাইরের কোনো হাসপাতালে। চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ অঞ্চলের সাধারণ রোগীরা।

জানা গেছে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে তিনতলা বিশিষ্ট সুরম্য ভবন, ডাইডস ডর্মেটরি ও নার্সিং কোয়ার্টার নির্মিত হয়। পুরনো ভবন ৩১ ও নতুন ভবন ১৯ শয্যা করে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। ২০১৫ সালের ৭ জুলাই তৎকালীন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু হাসানুজ্জামান নুপুরের নিকট ভবনটি হস্তান্তর করা হয়। প্রশাসনিক অনুমোদনে ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে নতুন ভবনে সমস্ত কার্যক্রম চালু করা হলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোকবল, সরঞ্জামাদি, খাবার ও ওষুধ বরাদ্দ না পাওয়ায় নতুন ভবনে ১৯ শয্যার কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়নি। ফলে পুরনো ভবনেই চলছে ৩১ শর্যার কার্যক্রম। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা ওয়াহিদ জানান, এখানে ১০ জন ডাক্তার থাকার কথা কিন্তু, একজন আবাসিক মেডিকেল অফিসার, একজন ইউনানি মেডিকেল অফিসার ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দিয়ে চালানো হচ্ছে হাসপাতালটি। কার্ডিওলজিস্ট ডা. আবুল হোসেন, গাইনির হুসনে জারী তহমিনা ও মেডিকেল অফিসার লইলা শারমিন রয়েছেন ডেপুটেশনে। আরও দুজন রয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে। এছাড়া সার্জারি কনসালটেন্ট জুনিয়র ও অ্যানেসথেশিয়া পদ শূন্য থাকায় পাঁচজন দিয়ে চালানো হচ্ছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। আর সঙ্গে রয়েছে মাত্র একজন কর্মচারী। কয়েকজন চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী দিয়ে কোনো রকম চালানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা ওয়াহিদ মাথাভাঙ্গাকে আরও বলেন, বিশেষ করে চিকিৎসক, সরঞ্জামাদি ও ওষুধের প্রাপ্যতা না থাকায় ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ৩১ শয্যার কার্যক্রমই চলছে। ৫০ শয্যার ভবন ছাড়া সব কিছুই আছে ৩১ শয্যার। তবে ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালানো গেলে আরও বেশি মানুষকে চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব হবে।

 

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More