কুড়ুলগাছিতে বজ্রপাতে মাঠের পাকা ধান পুড়ে ছাই : ইউএনও’র আর্থিক অনুদান

কুড়ুলগাছি  প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কুড়ুলগাছির পশ্চিম পাড়া গ্রামে চিৎলা মাঠে বজ্রপাতে পুড়ে যাওয়া ধানের মালিক কৃষক শফিকুলকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা। গত রোববার বিকেলে কুড়ুলগাছির পশ্চিম পাড়া গ্রামে চিৎলা মাঠে বজ্রপাতে কৃষক শফিকুলের ১৫ কাঠা জমির পাকা ধান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ‘দৈনিক মাথাভাঙ্গা’ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর, গত পরশু সোমবার বিকেল ৫টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা বজ্রপাতে ক্ষতিগ্রস্থ দরিদ্র কৃষক শফিকুলের ক্ষতিগ্রস্থ ধানের মাঠে উপস্থিত হয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারে ইউএনও আর্থিক অনুদান, খাদ্য সহায়তা ও কৃষি প্রণোদনা যাতে পায় তার প্রদানের পাশাপাশি উপস্থিত জনগণকে বজ্রপাতের সময় করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ শফিকুলের কথা মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন সব সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, ভবিষ্যতেও পাশে থাকবে বলেও জানান। এছাড়া কুড়ুলগাছি আদর্শ কৃষক সমবায় সমিতি লি. পক্ষে থেকে ধানে সেচ বাবদ পাওনা ২ হাজার টাকা মওকুফ করে দিয়েছে সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান। স্থানীয়রা জানান, গত রোববার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে ঝড়োহাওয়া ও বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত শুরু হয়। জীবনের মায়া ত্যাগ করে শত শত মানুষ মাঠে নিজ নিজ জমিতে পাকা ধান ঘোছাতে থাকে। হঠাৎ করে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কুড়ুলগাছির চিৎলা মাঠের মাঝ খানে বজ্রপাত হয়। সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় কালো ধুয়ার সাথে বারদের গন্ধে মাঠ ভরে যায় এবং কুড়ুলগাছির পশ্চিমপাড়ার রমযানের ছেলে অসহায় দরিদ্র কৃষক শফিকুলের একমাত্র বছরের খাবারের অবলম্বন ১৫ কাটা জমির পাকা ধান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে অসহায় কৃষক শফিকুল ছুটে যায় তার ধানের জমিতে গিয়ে দেখে সবধান পুড়ে ছায় হয়ে গিয়েছে। এ অবস্থা দেখে শফিকুল বলতে থাকে আমি ধার দেনা করে ধান চাষ করেছি এখন সারা বছর ছেলেমেয়ে ও পরিবারের বাবা মা দের খাওয়াবো কি করে। ধার দেনাই বা শোধ দেবো কি করে। শফিকুলের কান্নায় যেনো মাঠ ভারি হয়ে উঠে। কৃষক শফিকুল আরও বলেন, বিকেলে বৃষ্টির সঙ্গে শুরু হয় বজ্রপাত। হঠাৎ কেউ একজন আমাকে খবর দেয় আমার ধানে বাজ পড়ে আগুন লেগেছে। আমি ও পরিবারের লোকজন মাঠে গিয়ে দেখি বেশিরভাগ ধান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নেভানোর আগেই সব শেষ হয়ে গিয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More