স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-টোকিও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-কিশাদা বৈঠকে ৮ চুক্তি ও সমঝোতা সই
স্টাফ রিপোর্টার: জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্যপ্রযুক্তির নানা ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ ও জাপান। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে উদ্ভাবন, গবেষণা, মানবসম্পদ উন্নয়ন, সাইবার সিকিউরিটিসহ নানা বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করবে দুই দেশ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই দেশের শীর্ষ প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তারা। এদিকে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতির আগে তাদের উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে ৮টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়।
দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে যৌথ বিবৃতিতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করেছি। আগামীতে এ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
কিশিদা বলেন, আজকের বৈঠকে তারা (ফুমিও কিশিদা-শেখ হাসিনা) ‘কৌশলগত অংশীদার’ হিসেবে আইনের শাসনের ভিত্তিতে অবাধ ও উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা সমুন্নত দৃঢ় অঙ্গীকার করেছেন। এখন বিশ্বব্যবস্থার ঐতিহাসিক ‘টার্নিং পয়েন্ট’।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীর করতে এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে সমযোগিতা বাড়াতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
গত মাসে ঘোষিত অবাধ এবং উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক পয়েন্টের জন্য নতুন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে জাপান ও বাংলাদেশ বিস্তৃত ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। আমরা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে জাপানের সম্ভবনা-বাংলাদেশ ইকোনমিক অংশদারিত্ব চুক্তির বিষয়ে যৌথ সমীক্ষায় ব্যাপকভাবে এগিয়ে যেতে সম্মত হয়েছি।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা বাংলাদেশ একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য। আমাদের প্রত্যাশা অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ফুমিও কিশিদা বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত প্রায় ১ মিলিয়ন মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। আমরা এই ইস্যুতে সহায়তা অব্যাহত রাখবো।
ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ উন্নীত হওয়া প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথ বিবৃতিতে বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিশিদা এবং আমি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সব কিছু নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আনন্দিত যে বাংলাদেশ ও জাপান সফলভাবে বিদ্যমান সম্পর্ককে ‘ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘কৌশলগত অংশীদারিতে’ উন্নীত করেছি।
শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন, আমি নিশ্চিত আমাদের দুই দেশের জনগণ এবং আমাদের সরকারের মধ্যেকার বিদ্যমান চমৎকার বোঝাপড়া, বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতা আগামী বছরগুলোতে আরও শক্তিশালী হবে।
ঢাকা-নারিতা সরাসরি ফ্লাইট চালু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি এই বছরের মধ্যে ঢাকা-নারিতা সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে। বৈঠকে বঙ্গোপসাগর এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোকে সংযুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ দক্ষিণাঞ্চলে উন্নয়নের জন্য মহেশখালী-মাতারবাড়ি ইন্ট্রিগ্রেটেড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট উদ্যোগ এবং বিগ-বি উদ্যোগ নিয়েও আলোচনা করার কথাও জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হওয়ায় আমরা জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাপানের সহযোগিতা চাওয়ার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করেছি। রোহিঙ্গাদের দীর্ঘমেয়াদি উপস্থিতি বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবন ও জীবিকাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে। আমরা জাপানকে অনুরোধ করেছি মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে এ সংকটের একটি টেকসই সমাধান খুঁজতে।
জাপানের আতিথেয়তার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিশিদা এবং জাপান সরকার আমাকে এবং আমার প্রতিনিধিদলকে যে আতিথেয়তা দেখিয়েছে তাতে আমরা গভীরভাবে মুগ্ধ।
শেখ হাসিনা বলেন, সুন্দর দেশ জাপানে আসাটা আনন্দের। জাপান সবসময় আমাদের হৃদয়ে। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি সম্পন্ন করার পর সরকারি সফরে টোকিও-তে আসতে পেরে আমি বিশেষভাবে আনন্দিত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। স্বাধীনতার পর প্রথমদিকে ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি যে কয়েকটি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাপান তাদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক সফরের মধ্যে দিয়ে দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেন।
ঢাকা-টোকিও’র মধ্যে ৮টি চুক্তি স্বাক্ষরিত: এদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপানে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা ও টোকিও আটটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়, মেধাসম্পদ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি এবং সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে চুক্তিগুলো বিনিময় করা হয়।
প্রথম চুক্তিটি হলো-বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয় এবং জাপানের কৃষি, বন ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কৃষি গবেষণা ও উন্নয়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কৃষি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সহযোগিতা স্মারক (এমওসি)।
দ্বিতীয় চুক্তিটি হলো-শুল্ক আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে শুল্কবিষয়ক সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা সংক্রান্ত জাপান সরকার এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি। এর লক্ষ্য শুল্ক অপরাধ প্রতিরোধ, তদন্ত এবং শুল্ক পদ্ধতির সরলীকরণ ও সমন্বয়ের জন্য সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা।
তৃতীয় চুক্তিটি হলো-বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ‘বাংলাদেশ-জাপান ইন্ডাস্ট্রিয়াল আপগ্রেডিং পার্টনারশিপ কো-অপারেশনের ওপর একটি ফ্রেমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার জন্য যৌথভাবে বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্পের মানোন্নয়নের সম্ভাবনা অন্বেষণ করার জন্য একটি এমওসি।
২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) অবস্থান থেকে উত্তরণ লাভের জন্য এবং ‘ভিশন-২০৪১’ এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হওয়ার চলমান প্রচেষ্টার জন্য বাণিজ্য কর্মক্ষমতা এবং পণ্য বৈচিত্র্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার।
চতুর্থ চুক্তিটি হলো-প্রতিরক্ষা সংলাপ, সফর বিনিময়, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, কোর্স, সেমিনার, কর্মশালা, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং এর সঙ্গে প্রাসঙ্গিক অন্য কোনো সম্মত কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং জাপান সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত স্মারক।
পঞ্চম চুক্তিটি হলো-মেট্রো রেলের ক্ষেত্রে সহযোগিতা, মেট্রো রেলনীতি, আইন ও প্রবিধান বিষয়ে সহযোগিতা, অবকাঠামো, রোলিং স্টক ও সিস্টেমের জন্য প্রযুক্তি; নিরাপত্তা নীতি ও ব্যবস্থাপনা এবং দুর্যোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সহযোগিতা স্মারক।
ষষ্ঠ চুক্তিটি হলো-জাপানের ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের শিল্প মন্ত্রণালয়ের মধ্যে জাহাজ রিসাইক্লিংয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা স্মারক। বাংলাদেশি পক্ষ ২০২৩ সালের মধ্যে জাহাজের নিরাপদ ও পরিবেশসম্মতভাবে রিসাইক্লিং করার জন্য হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন (এইচকেসি) মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। জাপানি পক্ষ জাহাজ রিসাইক্লিং করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে। এগুলোর মধ্যে একটি ট্রিটমেন্ট, স্টোরেজ এবং ডিসপোজাল সুবিধা প্রতিষ্ঠা করা এবং এইচকেসি এর বিধানগুলোর শর্ত পূরণে বাংলাদেশকে সহায়তা করা।
তথ্য বিনিময় ও চর্চা, আইপিআরের গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, শিল্পের বিকাশ ও উদ্ভাবনের জন্য আইপিআর সিস্টেমের উন্নতির মাধ্যমে মেধাসম্পদ অধিকার (আইপিআর) সিস্টেম ও চর্চার বিষয়ে জাপান পেটেন্ট অফিস এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পেটেন্ট, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগের মধ্যে সপ্তম সহযোগিতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
অষ্টম চুক্তিটি হলো-বাংলাদেশের আইসিটি বিভাগ, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তাসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এমওসি।
কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকের-উজ-জামান, সড়ক পরিবহণ ও জনপথ বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের আগে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা ইস্যুসহ সংশ্লিষ্ট পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আলোচনায় প্রাধান্য পায়।
এর আগে শেখ হাসিনা জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে এখানে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও সেরিমোনিয়াল গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশাদার সঙ্গে বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজপ্রাসাদে (ইমপেরিয়াল প্যালেস) জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
জাইকা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ: এদিকে বুধবার সকালে টোকিও আকাসাকা প্যালেস স্টেট গেস্ট হাউসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) প্রেসিডেন্ট আকিহিকো তানাকা। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব গুলশাহানা ঊর্মি বিষয়টি জানিয়েছেন। একই গেস্ট হাউজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাংলাদেশ-জাপান কমিটি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশনের চেয়ারম্যান ফুমিয়া কোকুবু ও জেট্রোর চেয়ারম্যান এবং সিইও ইশিগুরু নোরিহিকো সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রসঙ্গত, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে মঙ্গলবার দ্বিপক্ষীয় সফরে টোকিও আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ যাত্রায় তিন দেশ সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাপান সফর শেষে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টোকিও থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন যাবেন। যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে বৃহস্পতিবার (৪ মে) যুক্তরাজ্যের লন্ডন যাবেন প্রধানমন্ত্রী। তিন দেশ সফর শেষে মঙ্গলবার (৯ মে) সকালে দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।