জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর বাজারের নিহত জুতা ব্যবসায়ী আবু সাঈদ (২৭) হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে আটক কাঁচামাল ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সেই সাথে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আদালতে তার ৭ দিনের রিমান্ডের প্রার্থনা করেছে। এ বিষয়ে আদালতের পরবর্তী দিনে শুনানী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পুলিশ বলছে নতুন আর কাউকে আটক করা হয়নি। তবে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এর মধ্যে নারী ও মাদক কানেকশনকে গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, জীবননগর হাইস্কুলপাড়ার রইচ উদ্দিন জীবননগর বাজারে পদশোভা সু নামে একটি জুতার দোকান পরিচালনা করেন। তার ছোট ছেলে আবু সাঈদও পিতার দোকানের অনতিদূরে ইয়ান সু নামে অপর একটি দোকান পরিচালনা করে থাকেতেন। আবু সাঈদ গত রোববার ভোর রাতে ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরের দিন আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হাসান জীবননগর থানায় আবু সাঈদের নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে আবু সাঈদের বাড়ি থেকে আনুমানিক ৫শ’ গজ দুরে বসুতিপাড়ায় কোরিয়া প্রবাসী কবির হোসেনের নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের লিফটের বেজমেন্টে হতে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লিফটের বেজমেন্টে জমাথাকে পানিতে তার মৃতদেহ ভেসে ছিলো। ৪ দিন পর পুলিশ তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা মর্গে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে গত শুক্রবার তার মৃতদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করে পুলিশ। বাদ আছর নামাজে জানাজা শেষে তার দাফন কাজ সমপন্ন করা হয়।
এদিকে পুলিশ এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে আটক বাজারের কাঁচামাল ব্যবসীয় আঁশতলাপাড়ার মৃত কাউছার আলীর ছেলে আক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ তাকে চুয়াডাঙ্গা সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ডের প্রার্থনা জানিয়েছে। পুলিশ এ হত্যাকান্ডে মোটিভ উদ্ধারে তৎপর রয়েছে। সংগ্রকৃত বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত যাছাই-বাছাই করা হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুলিশ এ হত্যাকান্ডের ক্লু উদঘাটনে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) স্বপন কুমার দাস।