জীবননগর কেডিকে ইউপির সাবেক মেম্বার মিঠুসহ গ্রেফতার দুই

যশোর ডিবি পুলিশের ছোলা উদ্ধারের ঘটনা জীবননগর জুড়ে চাউর

জীবননগর ব্যুরো: যশোরের বেনাপোল পোর্ট থেকে চট্টগ্রামে পাঠানো এক ট্রাক ছোলা রাস্তার মধ্যে গায়েব হয়ে যায়। এ ছোলা গায়েবের সাথে ট্রাকের মালিক ও ড্রাইভার জড়িত। আর এ ছোলা ক্রয় করে ফাঁসেন কেডিকে ইউপির সাবেক সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা খাসিয়ার রহমান মিঠু। যশোরের ডিবি পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে মিঠু মেম্বারসহ (৪০) দুজনকে গ্রেফতারসহ উদ্ধার করা হয়েছে প্রতারণা পূর্বক আত্মসাৎকৃত ২০ টন ৯০ কেজি ওজনের ৬৬৭ বস্তা ছোলা। ডিবি পুলিশ সোমবার জীবননগরে এ অভিযান পরিচালনা করে। এদিকে ছোলা উদ্ধার ও আওয়ামী লীগ নেতা মিঠু মেম্বারের গ্রেফতারের বিষয়টি গতকাল জীবননগর জুড়ে ছিলো প্রধান আলোচন্য বিষয়।

যশোরের ডিবি সূত্রে প্রকাশ, চট্টগ্রামে কোতয়ালী থানাধীন চাকতাই এলাকার মেসার্স চিটাগাং ট্রেডার্স ভারত হতে ছোলা আমদানী করেন। যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বেনাপোল স্থলবন্দর গেট সংলগ্ন ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নানের আছিয়া ট্রান্সপোর্ট আমদানীকৃত ছোলার মধ্যে ২০ টন ৯০ কেজি ওজনের ৬৬৭ বস্তা ছোলা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ীর সাগর ট্রেডার্সে ট্রাকযোগে পাঠায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১৬ লাখ টাকা। কিন্তু এ ছোলা আর রাজবাড়ীতে পৌঁছায়নি। ট্রাকের মালিক ও ড্রাইভার মিলে এ ছোলা আত্মসাৎ করেন এবং অন্যত্র তা বিক্রি করে দেন। বিষয়টি জানতে পেরে বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ ইন্সপেক্টর রুপণ কুমার সরকারকে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। পুলিশ ইন্সপেক্টর রুপণ কুমার সরকারের তত্ত্বাবধানে এসআই নূর ইসলাম, এসআই শফি আহমেত রিয়েল ও এসআই শামীম হোসেনের সমন্বয়ের একটি টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করেন এবং সোমবার অভিযান চালিয়ে ৬৬৭ বস্তা ছোলা উদ্ধারসহ যশোর কোতয়ালী থানাধীন বসুন্দিয়া গ্রামের মৃত আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে হাসান আল মামুন রাজন ও জীবননগর উপজেলার দেহাটি গ্রামের মোদাচ্ছের রহমানের ছেলে খাসিয়ার রহমান মিঠুকে গ্রেফতার করে। মিঠু কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা।

এদিকে ছোলা উদ্ধারসহ মিঠু মেম্বারের গ্রেফতারের ঘটনা উপজেলা জুড়ে গতকাল চাউরে পরিণত হয়। নানাজন নানা মন্তব্য শুরু করে। কেউ কেউ বলতে থাকেন মিঠু ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে কৌশলে টিসিবির পণ্য ক্রয় করে তা বিক্রিকালে ধরা পড়েছে। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা ভিন্ন।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More