হজে যাওয়ার দারুণ সুযোগ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চলতি মরসুমে হজ নিবন্ধনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমিক উন্মুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া নতুন প্রাক-নিবন্ধন করে হজে যাওয়ারও সুযোগ দেয়ার কথা জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ফলে যারা এ বছর হজে যাওয়ার জন্য প্রাক-নিবন্ধন করতে পারেননি, তারা এখন প্রাক-নিবন্ধন করে সঙ্গে সঙ্গে হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। হজে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ প্রাক-নিবন্ধন। এ নিবন্ধন ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি-কোনো ব্যবস্থাপনায়ই হজে যাওয়া যাবে না। হজে যেতে ইচ্ছুকদের এক বছর আগেই এই প্রাক-নিবন্ধন করতে হয়। নির্ধারিত কোটায় ক্রমিক অনুযায়ী তারা পরের বছর হজে যেতে পারেন। আর কোটা পূরণ হয়ে গেলে যারা বাকি থাকেন ক্রমিক নম্বর অনুযায়ী তারা তার পরের বছর হজে যাওয়ার সুযোগ পান। চলতি বছর হজে যেতে ইচ্ছুকদের প্রাক-নিবন্ধন করেছেন গত বছর। সে অনুযায়ী চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। চলতি মরসুমে হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয় ৮ ফেব্রুয়ারি। শুরুতে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিলো ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, কিন্তু আশানুরুপ নিবন্ধন না হওয়ায় সপ্তম দফা সময় বাড়িয়ে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এবার ৬ষ্ঠ দফা সময় বাড়িয়েও প্রায় ৯ হাজার নিবন্ধন ফাঁকা রয়েছে। এ অবস্থায় সপ্তম দফা নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। চলতি বছর হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় আরও ৬ দিন বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে এবার দারুণ একটি সুযোগ দেয়া হয়েছে এবার। যারা প্রাক-নিবন্ধন করেননি গত বছর, তারা যদি কেউ এবার হজে যেতে চান তাহলে তিনি এখন প্রাক-নিবন্ধন করে হজে যেতে পারবেন। শুক্রবার রাত ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রী মোট নিবন্ধন করেছে ১ লাখ ১৮ হাজার ২৮৬ জন। তার মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছে ৯ হাজার ৯৩৫ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছে ১ লাখ ৮ হাজার ৩৫১ জন। চাঁদ দেখাসাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন। চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের নিয়ম রাখা হয়েছে। এবার সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর মধ্যে সরকারি ও বেসরকারিভাবে ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমানো হয়েছে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More