মসজিদের হক আর শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ইমামদের শক্ত ভূমিকা জরুরি
গাংনীতে ইমামদের সাথে মতবিনিময় সভায় এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন
গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেছেন, মসজিদে সব মুসল্লি সমান। মসজিদের নেতা একজনই আর ঁিতনি হচ্ছেন ইমাম। জুম্মার নামাজে অনেক সময় নেতা দেখে সামনের কাতারে যাওয়ার আবদার জানানো হয়। যা ইসলামে দৃষ্টিকটু আর মসজিদের শৃঙ্খলা নষ্ট হয়। মসজিদের সৌন্দর্য হচ্ছে- যিঁনি আগে যাবেন তিনি আগের কাতার পুরণ করে বসবেন। কিন্তু নেতা, প্রভাবশালী ব্যক্তিসহ বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদেরকে সামনের কাতারে টেনে নিয়ে গিয়ে সেই সৌন্দর্য নষ্ট করা হচ্ছে। এতে সাধারণ মুসল্লিরা মনেকষ্ট পান। যা ইসলাম পারমিট করেনি। তাই মসজিদের সৌন্দর্য আর শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ইমামদেরকে আরও বেশি সজাগ হতে হবে। গতকাল শনিবার দুপুরে গাংনী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে গাংনী উপজেলার ইমামদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি উপরোক্ত আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাংনী দারুচ্ছালাম জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাও. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন গাংনী ঈদগাহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি হাজি মহসিন আলী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজি এনামুল হক ও হাফেজ মাওলানা রোকুনুজ্জামান। বক্তৃতায় প্রধান অতিথি বলেন, এই সমাজের মূল নেতৃত্বের জায়গায় ইমামদের থাকার কথা ছিলো। কিন্তু নানান কারণে সেটি আমারা দেখতে পাইনি। ইমামদেরকে আরও বেশি স্বোচ্ছার হতে হবে। খুতবায় ধর্মীয় দিক নির্দেশনার পাশাপাশি সামাজিক চলাচলের ক্ষেত্রেও ইসলামের নির্দেশনা মানুষকে শোনাতে হবে। পরে আসলে যে আগের কাতারে বসা যায় না তা জোরালেভাবেই ইমামদেরকে বলতে হবে। কেননা ইমাম মানেই নেতা। তাছাড়াও ইমামদের জীবন মান উন্নয়নে বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে ইমামদের পক্ষ থেকেও বেশ কিছু অসুবিধার কথা তুলে ধরে বক্তৃতায় কয়েকজন ইমাম বলেন, প্রতিটি মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জিনদের বিষয়ে সরকারকে আরও আন্তরিক হতে হবে। ইমামদের বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন সুুবিধা থাকা জরুরি। তাছাড়া ইমাম হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি থাকা এখন সময়ের দাবি। প্রায় শতভাগ মুসলমান মানুষের বসবাসের এই দেশে ইমামদের জীবন মান উন্নয়নে সরকার সচেষ্ট হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইমামরা। মতবিনিময় শেষে উপজেলার প্রতিটি জামে মসজিদের ইমামকে জায়নামায, টুপি, তসবিহ উপহার দেয়া হয়।