চুয়াডাঙ্গায় অস্ত্রপচারের পর কৌশলে নবজাতক বিক্রির চেষ্টা : ফিরলো মায়ের কোলে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল রোডে অবস্থিত এ আর হাসপাতালে অস্ত্রপচারের পর কৌশলে এক নবজাতককে বিক্রির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে দরিদ্র পরিবার। বিষয়টি জানাজানি হলে বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা করে পরিবারের সদস্যরা। গতকাল রোববার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের (বেসরকারি ক্লিনিক) এ আর হাসপাতালে ঘটে এ ঘটনা। এ আর হাসপাতালের মালিক ডা. রফি উদ্দিন রফিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, গত দুই বছর আগে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর গ্রামের বিলপাড়ার মল্লিক আলীর মেয়ে ইসমত আরাকে (২৫) বিবাহ করেন। বিয়ের পর থেকেই আব্দুল্লাহ তার দ্বিতীয় স্ত্রী ইসমত আরাকে ঠিকমতো দেখাশোনা করে না। এরই মাঝে ইসমত অন্তঃসত্তা হয়ে পড়েন। গত শুক্রবার তার মেয়ের প্রসব বেদনা শুরু হলে এ আর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে বেলা ১০টার দিকে ফুটফুটে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। নবজাতককে বিক্রি করতে পায়তারা করতে থাকেন নবজাতকের নানী। এরই মাঝে হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক ও নার্সদের কানে গেলে তারাও নিষেধ করেন। তবুও নানী লোক ঠিক করতে থাকেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে জেলা গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা ও সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসলে নবজাতককে বিক্রি করতে ব্যর্থ হন পরিবারের সদস্যরা। তবে নবজাতকের নানীসহ পরিবারের সদস্যরা বেচা-কেনার বিষয়টি সম্পন্ন অস্বীকার করে বলেন, আমরা বিক্রির জন্য কোন চেষ্টা করিনি। নবজাতকের মায়ের সঙ্গে তার বাপের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। নবজাতককে তার বাপের কাছে পাঠানোর চেষ্টা চলছিলো। কারণ ছেলেকে দেখে যেন সংসারে ফিরে আসে। এ বিষয়ে এ আর হাসপাতালের মালিক ডা. রফি উদ্দিন রফিক নবজাতক বিক্রির চেষ্টা চলছিলো জানিয়ে বলেন, তারা গরিব পরিবার। এছাড়া স্বামী তার স্ত্রীকে দেখাশোনা করেনা। তাই নানী নবজাতককে বিক্রির চেষ্টা চালিয়েছে। শনিবার রাতে বিষয়টি শোনার পরই বিক্রি না করার জন্য পরিবারের লোকজনকে অনুরোধ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দিই।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More