উত্তরীয়সহ বিরোচিত সংবর্ধনায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অভিভূত
চুয়াডাঙ্গায় জমকালো আয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় জমকালো আয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত শারীরিক শিক্ষার শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ শারীরিক শিক্ষাবিদ সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আয়োজনে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান। সংগঠনের অবসরপ্রাপ্ত ও বিদায়ী সভাপতি রউফুন নাহার রীনার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা, আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, আলমডাঙ্গার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান ফারুক ও হাবিবুল করিম চঞ্চল। গতকাল শনিবার দিনব্যাপী দামুড়হুদার ডিসি ইকোপার্কের চড়ুইভাতি মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ বিদায় সংবর্ধনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা শারীরিক শিক্ষাবিদ সমিতির ৮জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সংবর্ধনার মাধ্যমে বিদায় দেয়া হয়। অবসরপ্রাপ্ত ৮জন শিক্ষকগণ হলেন আলমডাঙ্গার ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) আলী হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছানোয়ার হোসেন, চুয়াডাঙ্গা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রউফুনাহার রিনা, এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফজলুল হক মালিক লোটন, দামুড়হুদা লোকনাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল হোসেন, আলমডাঙ্গা হাটবোয়ালিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আবুল কাশেম ও দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক মজিবর রহমান। সহকারী শিক্ষক মাসুদ রানার পবিত্র কালামে পাক থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় অবসরপ্রাপ্ত বিদায় শিক্ষকদের স্মৃতিচারণে চড়ুইভাতি মঞ্চ যেন কিছু সময়ের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায়। অবসরপ্রাপ্ত বিদায়ী শিক্ষকরা শিক্ষাজীবনের নানা সুখ-দুঃখের স্মৃতি তুলে ধরে এ ধরনের আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বলেন, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে যে সংবর্ধনা দেয়া হয়নি, সেটি এই জেলা শারীরিক শিক্ষাবিদ সমিতির মাধ্যমে সংবর্ধিত করে আমাদেরকে চরমভাবে সম্মানিত করা হয়েছে। আমরা এ সংবর্ধনার কথা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভুলবো না। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলার শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান বলেন, এ ধরনের আয়োজনকে সত্যিই প্রশংসা না করে পারা যায় না। অবসরপ্রাপ্ত এসব শিক্ষকদেরকে তাদের সহস্র বিদ্যালয় থেকে সংবর্ধনা প্রদান না করা হলেও সংগঠনের পক্ষ থেকে এ ধরনের উচ্চভিলাসী আয়োজন সত্যিই আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে এ আয়োজনকে আমি স্বাগত জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে অবসরপ্রাপ্ত এসব শিক্ষকদেরকেও স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং জেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকেও সংবর্ধিত করার ব্যবস্থা করা হবে। অতিথিবৃন্দ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিদায়ী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান উত্তরীয় পরিধানসহ নানা উপঢৌকন দিয়ে তাদেরকে সম্মানের সহিত সংবর্ধিত করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ অবসরপ্রাপ্ত এ সকল শিক্ষকদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে এ আয়োজনকে আরো সার্থক করে তোলেন। জেলার প্রায় শতাধিক সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) এ আয়োজনে সাথী হয়ে সংবর্ধিত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে চড়ুইভাতিতেও মেতে ওঠেন। মনোরম পরিবেশে মধ্যাহ্নভোজের পর অত্যন্ত আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানে মিলিত হয়। র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমন্ত্রিত অতিথিসহ অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য আকর্ষণীয় আকর্ষণীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে ডিসি ইকো পার্কের বিভিন্ন সৌন্দর্যপূর্ণ স্পট পরিদর্শন করে বাদযোগে সকল শিক্ষককে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কে স্ব-স্ব গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হয়। সংবর্ধনা ও চরুইভাতি অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ শারীরিক শিক্ষাবিদ সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম ও সমিতির আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক। এছাড়া এ আয়োজনের সুষ্ঠু ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করেন সহকারী শিক্ষক ফিরোজ উদ্দিন, হাফিজুর রহমান, আব্দুল হাই, সোয়েব আহমেদ, খাইরুল ইসলাম, হাসান আলী, ভোলানাথ ম-ল, শামসুন্নাহার শীলা, শাহ আলম, ইকবাল হোসেন, ইজাজ আহমেদ, মাসুদ রানা, ইব্রাহিম হোসেন, সেলিম হোসেন, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।