রাজশাহীর জনসমাবেশে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ফের নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আ.লীগ কখনো দেশ ছেড়ে পালায় না : দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতারা পালাতে বাধ্য হয়েছেন
স্টাফ রিপোর্টার: ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আবারও নৌকায় ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার রাজশাহী ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয়। চলতি বছরের শেষে নির্বাচন। রাজশাহীর এই বিশাল জনসমাবেশ থেকে আপনারা আমাকে কথা দিন। অতীতের মতো আগামী নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবেন। আমরা কথা দিচ্ছি, ২০৪১ সালে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে পাবেন। জনতা দুই হাত তুলে সমস্বরে চিৎকার করে শেখ হাসিনার কথায় সায় দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট বলে বেড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই-আওয়ামী লীগ কখনো দেশ ছেড়ে পালায় না। বরং দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতারা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। বিএনপির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা নাকি ক্ষমতায় গিয়ে দুর্নীতির বিচার করবেন। যে দলের নেতা-নেত্রীরা দুর্নীতির দায়ে জেল খাটছে, তারা কীভাবে অন্যের দুর্নীতির বিচারের কথা মুখে আনে। তারেক রহমান নাকি দেশে ফিরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এসব হুমকিকে ভয় পায় না। কারণ, আওয়ামী লীগ জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করে, কোনো দুর্নীতি করে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন। বিকেল ৩টা ৫৪ মিনিট থেকে ৪টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত ৩১ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বিগত ১৪ বছরে দেশে এবং রাজশাহীতে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি দেশে চলমান বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলন কর্মসূচি নিয়েও কথা বলেন। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন। সঞ্চালনা করেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ-সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা এবং মহানগর সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। সমাবেশ শুরুর আগে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের সদস্য এবং বিভিন্ন সময়ে শহিদ হওয়াদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বেলা ৩টা ১২ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সভামঞ্চে আসেন। এ সময় ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানের সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীরা করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী সারদা পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস-এর শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের সমাপনী কূচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদেন। পরে রাজশাহী নগরীতে পৌঁছে তিনি ১৩১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত ও বাস্তবায়নাধীন ৩২টি উন্নয়ন প্রকল্পের ফলক উন্মোচন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন ভূখ- আমাদের দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু খুব অল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুনর্গঠনে কাজ শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু সব সময় একটি সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন। বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে চেয়েছিলেন। সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু করেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশি-বিদেশি কুচক্রীমহল বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়; সে কারণে মানুষকে অনেক বছর ভুগতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরের নৃশংস হত্যাকা-ের সময় ভাগ্যক্রমে আমরা দুবোন প্রাণে বেঁচে যাই। আমি দেশে ফিরতে চাইলে ওই সময় জেনারেল জিয়ার সামরিক সরকার আমাকে ফিরতে বাধা দেয়। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে এসে দলের হাল ধরেছি। আমাদের নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আমরা হাল ছেড়ে দিইনি। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ ও দেশের মানুষকে সামরিক শাসনের নাগপাশ থেকে মুক্ত করতে আন্দোলন করেছি। আমরা জনগণের রায় নিয়ে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসি। ওই সময় দেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় ছিলো। দেশে ৪০ লাখ টন খাদ্য ঘাটতি ছিলো। আমরা কৃষি উৎপাদন বাড়িয়ে ঘাটতি পূরণ করি। আমরা ক্ষমতায় এসে রাজশাহীসহ সারা দেশের বন্ধ কলকারখানাগুলো চালু করি। বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করি। আমরা ওই সময় মানুষকে একটি উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাই। সেই ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন সংকটেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি একদিনে দেশের শতাধিক সেতু উদ্বোধন করেছি। পদ্মা সেতু আমরাই করেছি, যা উন্নত বিশ্বের মানুষকেও বিস্মিত করেছে। বঙ্গবন্ধু ট্যানেল হচ্ছে, আমরা মেট্রোরেল চালু করেছি। পাতাল রেলের যুগে যাচ্ছি। দারিদ্র্য ৪০ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। আমরা সারা দেশে নারীর ক্ষমতায়ন তথা মা-বোনদের আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করেছি। আমরাই দেশে প্রথম স্কুলছাত্রীদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। আমাদের প্রচেষ্টার ফলে গ্রামেও তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার ঘটেছে। ফলে প্রশিক্ষণ নিয়ে শিক্ষিত বেকার যুবক ও যুব মহিলারা কর্মসংস্থানের সুযোগ করে নিচ্ছেন। এসবই আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও সুশাসনের ফল।
দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গৃহহীনদের বিনামূল্যে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি এবং দিচ্ছি। কাজের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। যাদের জমি নেই, ভূমিহীন, তাদের ২ কাঠা করে জমি দিচ্ছি যেন তারা নিজেরাই ঘর করে নিতে পারে। চাষাবাদের জন্য জমি দিচ্ছি। আওয়ামী লীগের আমলে দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন ও কর্মহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইটি ও হাইটেক পার্ক করেছি। এই রাজশাহীতেও বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক করেছি। এখানে জয় সিলিকন সেন্টার হয়েছে। এসব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষিত বেকাররা তথ্যপ্রযুক্তির বিষয়ে কাজের সুযোগ পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম বেড়েছে। আগে বিশ্ববাজারে যে পণ্যের দাম কম ছিলো, এখন তা আনতে দ্বিগুণের বেশি ডলার খরচ হচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশ চরম সঙ্কটে থাকলেও বাংলাদেশ এখনো আল্লাহর রহমতে ভালো অবস্থায় আছে। আমরা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থেকে স্বল্প-আয়ের মানুষকে সহায়তা দিতে ২০ টাকা কেজি দরে চালসহ বিভিন্ন পণ্য দিচ্ছি। আমরা জনগণের কষ্ট বুঝি। তিনি বলেন, করোনার থাবায় অনেক উন্নত দেশের অর্থনীতিও ভয়াবহ মাত্রায় চাপে পড়েছে। কিন্তু আমরা টিকা কিনে এনে জনগণকে বিনামূল্যে দিয়েছি। করোনাকালে আমরা জনগণকে বিভিন্নভাবে অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছি, যা আজও অব্যাহত আছে।
রাজশাহীর উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে আমরা এখানে ১৪ হাজার ৬৬০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। আজ আমি ১ হাজার ৩১৬ কোটি টাকার ৩২ প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম। এর মধ্যে ৩৬৬ কোটি ব্যয়ে ৬টি প্রকল্প চলমান আছে। রাজশাহী ওয়াসার জন্য একটি বড় প্রকল্প দিয়েছি। প্রকল্পটি শেষ হলে রাজশাহীর মানুষ বিশুদ্ধ পানি পাবেন। রাজশাহীতে বিকেএসপি করছি। এতে রাজশাহীর ছেলেমেয়েরা ক্রীড়াক্ষেত্রে পড়াশোনা ও পারদর্শিতার সুযোগ পাবেন। রাজশাহীতে আমরা দুটি বড় স্টেডিয়াম করেছি। কিন্তু এখানে তারকামানের হোটেল না থাকায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয় না। আপনাদের অনুরোধ করবো-যাদের টাকা আছে, তারা ভালোমানের দু-একটি হোটেল করেন। আমরা সাধ্যমতো সহায়তা দেব। রাজশাহীতে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছি। রাজশাহী এখন উন্নয়নের আদর্শ মডেল। রাজশাহী এখন দেশের গ্রিন সিটি, যা সবুজ নগরী। এজন্য রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে আপনারা ধন্যবাদ জানাবেন।
প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়ে আরও বলেন, আপনারা গত তিনটি নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করেছেন। আমরাও আপনাদের জন্য উন্নয়নের দুয়ার খুলে দিয়েছি। রাজশাহীর মানুষকে আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রাজশাহীতে বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলে জঙ্গিরা সশস্ত্র অবস্থায় পুলিশ পাহারায় জেলাজুড়ে সন্ত্রাস চালিয়েছে। মানুষ হত্যা করেছে। এই রাজশাহীতে একটি পরিবার নৌকায় ভোট দেয়ার জন্য তাদের মেয়েকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়েছিলো। আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম, আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতকে ভোট দেবেন না। তারা ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে সশস্ত্র জঙ্গি বাংলাভাই ও তার দলবলকে মাঠে নামিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিলো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বেছে বেছে হত্যা ও বাড়িঘর লুট করা। তিনি আরও বলেন, বিএনপি আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। আবারও দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। কিন্তু আপনাদের বলব, তাদের ফাঁদে পা দেবেন না। খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ নৌকায় ভোট দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন বলেই আপনার স্বামী মেজর থেকে মেজর জেনারেল হয়েছিলেন। জেনারেল জিয়া মারা গেলে বিএনপি প্রচার করেছিলো একটা ভাঙা সুটকেস আর ছেঁড়া গেঞ্জি ছাড়া কিছুই ছিলো না। কিন্তু পরে দেখা গেল, তারা কোটি কোটি টাকা বিদেশে জমিয়েছেন। দেশে বড় বড় ব্যবসা গড়েছেন। বিএনপি নেতা তারেক রহমান ও তার সহযোগীরা দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করেছিলেন। আদালতে তার সাজা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছি। ইমাম-মুয়াজ্জিনদের ভাতার ব্যবস্থা করেছি। আরবি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি যাতে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা উচ্চতর পড়াশোনা করে মূলধারায় যেতে পারেন। এখন মাদরাসা শিক্ষার্থীরা আর অবহেলার পাত্র নন। তারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। যোগ্যতা সাপেক্ষে সরকারি উচ্চপদেও চাকরি পান। আমরাই ইসলামি শিক্ষার উন্নয়নে বহু কাজ করেছি, যা দেশের আলেম সমাজের ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে কীভাবে দেশের উন্নয়ন হয়। কীভাবে মানুষের ভাগ্যের চাকা সচল হয়। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট দেশকে অগ্নিসন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ ছাড়া আর কিছু দিতে পারেনি। তারা আন্দোলনের নামে চার হাজারের বেশি নাশকতামূলক কর্মকা- চালিয়েছিল। তারা আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। এই রাজশাহীতেই তারা পুলিশ হত্যাসহ ভয়ংকর সন্ত্রাস চালিয়েছিল। আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ক্ষমতায় আছে; কিন্তু কোথাও আমরা সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দিইনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারে। আগামী দিনেও আমরা জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কেউ আন্দোলনের নামে অরাজকতা করতে চাইলে কঠোরভাবে দেখা হবে। আপনারা জানেন, ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা হয়েছিল দেশে। সেটা হয়েছিল বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসের কারণে। তারা আবারও আরেকটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে।
রাজশাহীর আমকে এ অঞ্চলের অর্থনীতির মেরুদ- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি শুনলাম রাজশাহীতে নাকি এখন বারো মাসি আম হয়। এটা রাজশাহীর মানুষের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। এই আম বিদেশে রপ্তানি করে আমাদের চাষি ভাইয়েরা লাভবান হতে পারেন। আপনারা সহায়তা চাইলে আমরা দিতে তৈরি আছি। এখন তো রেল ও বিমানে আম চালান করা যায়। আমরা আগামী দিনে দেশে-বিদেশে আরও আম চালানের সুযোগ বাড়িয়ে দেব ইনশাল্লাহ।