স্টাফ রিপোর্টার: ফের সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। দেশের বড় দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির দিকে পর্যবেক্ষক মহলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও নজর রয়েছে। একদিকে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার আর খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে সরব রয়েছে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। অন্যদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ আর সংগঠন গোছাতে মাঠে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মহামারি করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে ২০২১ এর শেষভাগে রাজপথের কর্মসূচিতে সক্রিয় হয় বিএনপি। নতুন বছরে এসেও সে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে চায় দলটি। জনগণের দাবি বা সংগঠনের কোনো ইস্যুতে আগে জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন গড়তে না পারলেও নতুন বছরে নেতাদের লক্ষ্য রাজপথে থাকার। নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার আর সরকারবিরোধী আন্দোলনে সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটাতে বিএনপি নেতারা একের পর এক নানান কর্মসূচি দিয়ে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখছে। অন্যদিকে জনগণ যাতে বিরোধী কোনো পক্ষের কথায় বিভ্রান্ত না হয় সেজন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণকে নিয়ে বিএনপির দেশবিরোধী যেকোনো চক্রান্ত এবং একাত্তরের পরাজিত অপশক্তির উত্থান রুখে দিতে জনগণের সঙ্গে মাঠে রয়েছে। বুধবার বিএনপির পূর্বঘোষিত গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘিরেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। দলটি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে। বিএনপির গণঅবস্থানের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা বসে আছে ফুটপাতের ওপর, মঞ্চ ও শ্রোতা সেখানেই, সবাই ফুটপাতকেন্দ্রিক। তারপর এলডিপি; দেখলাম সেই দৃশ্যপট, কয়েকজন হাতে গোনা বসে আছে। ৫৪ দল আজকে একজন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। কী হবে? ঘোড়ার ডিম পাড়বে। ৫৪টা ঘোড়ার ডিম পাড়বে, ৫৪টি ঘোড়ার ডিম পাড়বে ৫৪টি বিরোধী রাজনৈতিক দল। বুধবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে দিনি একথা বলেন। ‘বিএনপিকে বাংলার মাটিতে আর ক্ষমতায় আসতে দেয়া যেতে পারে না’ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাষ্ট্রকে মেরামত করবে? রাষ্ট্রকে আবার ক্ষমতা পেলে তারা ধ্বংস করবে। এই দেশের গণতন্ত্র বাঁচবে না, তারা ক্ষমতায় এলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাঁচবে না। তারা ক্ষমতায় এলে স্বাধীনতার আদর্শ বাঁচবে না। তারা ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্রের বস্ত্রহানি ঘটবে। এই অপশক্তি জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক।’ ওবায়দুল কাদের বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর তো এই নগরীতে বিজয় মিছিল হবে। ১০ জানুয়ারি তো এমনও কথা ছিল যে তারেক রহমান এসে নেতৃত্ব দেবেন। ১০ ডিসেম্বর এমনও কথা ছিল যে বেগম জিয়া জেল থেকে এসে বিজয় মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন, সরকারের পতন অনিবার্য। কী হলো? ১০ ডিসেম্বর ভুয়া, ৩০ ডিসেম্বর ভুয়া।’ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের এ সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘যারা স্বাধীনতাকে নিয়ে, শেখ হাসিনার উন্নয়নকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করবে, তাদের রাজপথে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে পঞ্চমবারের মতো শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করব।’ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছে বিএনপি। তারা অনির্বাচিত সরকার চায়। তাদের প্রতিহত করা হবে। সভাপতিমন্ডলীর আরেক সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে কোনো অপশক্তির জায়গা হবে না। বিএনপির সঙ্গে দেশের জনগণ নেই, তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি হলো সাম্প্রদায়িক অপশক্তি।’ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা, সেই অগ্রযাত্রায় সারা বিশ্ব যখন প্রশংসায় পঞ্চমুখ, তখনই এই দেশে যাঁরা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের দোসর, যারা ২০১৩-১৪-১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষ হত্যা করেছে, সেই অপশক্তি আবারও মাঠে নেমেছে।’ আওয়ামী লীগকে যে ধাক্কা দেয় সে পড়ে যায় এদিকে আওয়ামী লীগকে যে ধাক্কা দেয় সে পড়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ডক্টর হাছান মাহমুদ। বুধবার বিকালে রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর ঈদগাহ মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন পছন্দ হয়নি বিএনপির। যখন এই সরকার উন্নয়ন করছে তখন ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চায়। ১০ ডিসেম্বর ধাক্কা দিতে চেয়েছিল, সেজন্য নয়া পল্টন থেকে গরুর হাটে পড়েছিল। এখন লাইনে আসছে, সেজন্য বলতেছে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পতন চাই।’ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘এবার শীত বেশি সেজন্য তারা আগামী বছর আন্দোলন করবেন। আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে, আর ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না, ১০ তারিখ একবার ধাক্কা দিয়েছে তখন কোমর ভেঙেছে, আবার ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিএনপির দুই পা ভেঙে যাবে।’ রাজাকার-আলবদরদের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না রাজাকার-আলবদরদের আর এদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেয়া হবে না- মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কর্মসূচি দেয়, ১/১১ এর জন্য তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। তাদের কারণেই গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে জনগণ মাঠে ছিল, আছে, থাকবে। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে হানিফ বলেন, ‘আসলে লজ্জা নেই। লজ্জা থাকলে তারা বলত না যে তাদের সঙ্গে দেশের জনগণ আছে। এই বিএনপির কারণেই এক-এগারো সৃষ্টি হয়েছিল।’ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপস্নব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক ইঞ্জি. আব্দুসু সবুর, উপপ্রচার বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনিবাহী সদস্য সানজিদা খানম। এছাড়া কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেসবাহুল হক সাচ্চু, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকীও বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নাশকতা সৃষ্টি করলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ১৯৭১ সালে ১০ জানুয়ারি বীরের বেশে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে ফিরে আসার পরই স্বাধীনতার পূর্ণতা পায়। বঙ্গবন্ধু যখন দেশে ফিরে দেশ পুনর্গঠনে কাজ শুরু করছিলেন, তখন তাকে হত্যা করা হয়। মায়া বলেন, ‘যারা স্বাধীনতা ও শেখ হাসিনার উন্নয়নকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করবে, তাদের রাজপথে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে পঞ্চমবারের মতো শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করব।’ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে চেষ্টা করছে বিএনপি। তারা অনির্বাচিত সরকার চায়। আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে লাভ নেই, দেশের জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। দেশের মধ্যে কোনো ধরনের নাশকতা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।’ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে কোনো অপশক্তির জায়গা হবে না। বিএনপির সঙ্গে দেশের জনগণ নেই, তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপি হলো সাম্প্রদায়িক অপশক্তি।’ এ সরকার জনগণের, পতন ঘটানো যাবে না এদিকে, সরকার পতন না ঘটাতে পারলে রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে মির্জা ফখরুল ইসলামকে ওয়াদা করতে বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। বুধবার বেলা ১টায় রাজধানীর ফার্মগেটে মহানগর উত্তর যুবলীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আপনি বলুন, যদি এই সরকারের পতন না ঘটাতে পারেন, তাহলে ওই নয়া পল্টনে কান ধরে উঠবস করে রাজনীতি থেকে বিদায় নেবেন। সেই ওয়াদা বাংলার জনগণের কাছে করতে হবে।’ জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব কারাগার থেকে বের হয়েছেন। তিনি কারাগার থেকে বের হয়ে বলেছেন সরকারের পতন না ঘটিয়ে ঘরে ফিরবেন না। সরকারের পতন হবে না। কারণ এ সরকার জনগণের সরকার। এ সরকার শান্তির পক্ষের সরকার, এ সরকার উন্নয়নের সরকার; এ সরকারের পতন ঘটানো যাবে না।’ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, ‘যারা জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারে, যারা জাতির পিতার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করতে পারে। যারা জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করতে পারে। তারা আর যাই হোক এ দেশের মঙ্গল কামনা করতে পারে না। ওরা খুনি।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে মোকাবিলার জন্য আওয়ামী যুবলীগই যথেষ্ট। যুবলীগ যদি মাঠে নামে দেশবাসী তাদের সঙ্গে থাকবে।’ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ নাঈমসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। শাহবাগে ছাত্রলীগের অবস্থান এদিকে বিএনপির গণঅবস্থানকে কেন্দ্র করে বুধবার রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ এই অবস্থানকে ‘সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ দুর্নীতির প্রতিশব্দ বিএনপি-জামায়াতের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান কর্মসূচি বলেছে। এ উপলক্ষে শাহবাগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন কলেজ, ঢাকা কলেজ, বদরুন্নেসা কলেজসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেয়। কর্মসূচির বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নের মডেলে পরিণত হয়ে উন্নত দেশ হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই দেশে-বিদেশে আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। পঁচাত্তরের ঘাতকরা উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। বিএনপি জামায়াতের দেশবিরোধী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দায়বদ্ধতা থেকেই তরুণ সমাজ আজকে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছে।’ উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে গতকাল দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। রাজধানীতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এরই পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে গতকাল শাহবাগে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগ। এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির গণমিছিলের দিনেও শাহবাগে ছাত্রলীগ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিল।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ