খাদিমপুর প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার দিলশাদপুর কাঠালিয়া গ্রামের পরকীয়ায় আসক্ত এক নারীর কাছ থেকে কৌশলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে পরকীয়া প্রেমিকের বিরুদ্ধে। কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিকা সাগরী খাতুনের সাথে সম্পর্কের ইতি টানেন অভিযুক্ত প্রেমিক হাসান। জানা গেছে, আলমডাঙ্গা খাদিমপুর ইউনিয়নের দিলশাদপুর কাঠালিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের মেয়ে সাগরী খাতুনের সাথে একই ইউনিয়নের আলিয়াটনগর গ্রামের সহিদুলের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের ১২ বছরের এক ছেলে ও ৯ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। এরই মাঝে হাসান নামের এক ব্যক্তির সাথে পরোকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। সাগরী খাতুন জানান, গত সাত মাস আগে হাসান নামের এক ব্যক্তির সাথে আমার পরিচয় হয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। এরপর থেকে আমাদের মাঝে মাঝেই কথা হতো। একসময় আমাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে আমাদের দেখা সাক্ষাত হতে থাকে। হঠাৎ হাসান আমাকে বলে, ব্যাংকে আমার অনেক টাকা আটকে আছে যা উত্তালনের জন্য কিছু টাকার প্রয়োজন। এই বলে আমার কাছে দুই লাখ টাকা ধার চাই। সে আরও বলে ১০ দিনের মধ্যেই টাকা ফেরত দেবো। আমি তাকে বিশ্বাস করে আমার স্বামীর সঞ্চয় থেকে গোপনে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা সরাসরি এবং আরো কিছু টাকা বিকাশের মাধ্যমে হাসানকে দিই। আমার স্বামী বিষয়টি জানতে পারে। তখন হাসানকে টাকা ফেরত দেয়ার কথা বললে সে টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে। বর্তমানে আমার স্বামী আমাকে তার বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।
আমি আমার আত্মীয়দের সহায়তায় হাসানের আসল ঠিকানা খুঁজে বের করা চেষ্টা করি। এক পর্যায়ে জানতে পারি তার নাম হাসান নয়। সে দামুড়হুদার কুড়–লগাছী গ্রামের মাসুদ। পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। আরও জানতে পারি সে বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে। আমার নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে মাসুদের সাথে টাকার ব্যাপারে কথা বলি। বাকবিত-ার এক পর্যায়ে সে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করলেও সব টাকা দিতে পারবে না বলে জানায়। সাগরী খাতুনের পিতা আব্দুল আজিজ জানান, আমার মেয়ে যা বলেছে সব সত্য। তার কাছ থেকে কৌশলে প্রায় ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মাসুদ। এ ঘটনা জানাজানি হলে আমার জামাই মেয়েকে তার বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।