স্টাফ রিপোর্টার: যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) কর্মরত নয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সনদ জাল বলে সত্যতা পেয়েছে এ বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি। এদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলতি আইন ও শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ রিজেন্ট বোর্ডের ৮২তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে সনদ যাচাই সংক্রান্ত তিনটি আলাদা কমিটি রিজেন্ট বোর্ডে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর রিজেন্ট বোর্ড প্রতিবেদনসমূহ গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন ও শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। রিজেন্ট বোর্ডের সদস্যদের অনেকে ভার্চুয়ালি এবং অনেকে সশরীরে সভায় অংশ নেন। রিজেন্ট বোর্ডে গৃহীত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী জাল ও অবৈধ সনদধারী ছয়জন কর্মকর্তা হলেন-সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) মো. মহিদুল ইসলাম (স্নাতকোত্তর, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়), টেকনিক্যাল অফিসার মো. হেলালুল ইসলাম (স্নাতক, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যলয়), টেকিনিক্যাল অফিসার মো. জাহিদ হাসান (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) মো. জাহাঙ্গীর আলম (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) মো. সাকিব ইসলাম (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) মোছা. হাসনা হেনা (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়)।
রিজেন্ট বোর্ডে জমা দেওয়া তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী জাল ও অবৈধ সনদধারী তিন কর্মচারী হলেন-মেকানিক মো. জাকির হোসেন (স্নাতক, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়), সিনিয়র ক্লিনার দিলীপ হরিজন (অষ্টম শ্রেণি), ক্লিনার বাসুদেব দাস (অষ্টম শ্রেণি)।
রিজেন্ট বোর্ড একামেডিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী যবিপ্রবির কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ শাহরিয়ার বিন রসুলকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের অনুমোদন দেয়। তিনি যবিপ্রবির কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. অছিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
যবিপ্রবির উপাচার্য ও রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আবু ইউসুফ মিয়া, যুগ্ম সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, সাভারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ, যশোরের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কাওছার উদ্দিন আহম্মদ, ইউজিসি অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. এম. এ. রশীদ, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহসান হাবীব, যবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ প্রমুখ।
দক্ষিণ কোরিয়ায় হ্যালোইন উৎসবে পদদলিত হয়ে নিহত ১৪৬
মাথাভাঙ্গা মনিটর: দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে হ্যালোইন উৎসব চলাকালে প্রচ- ভিড়ে পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ১৪৬ জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দেশটির সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জরুরি পরিষেবার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইতাওয়ান জেলায় এ উৎসবে আরও দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। সিউলের ইয়ংসান ফায়ার ডিপার্টমেন্টের প্রধান চোই সিওং-বিওম বার্তা সংস্থা এপি-কে জানিয়েছেন, মৃতদেহ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এখনো অনেকের মরদেহ রাস্তায় পড়ে আছে। বিপুল সংখ্যক উদ্ধারকর্মী ঘটনাস্থল থেকে একের পর এক মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স মরদেহ গুলো সরিয়ে নিচ্ছে। ১৪২টি দমকল ইঞ্জিন ও অন্যান্য উদ্ধারকারী যান উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। প্রচুর মানুষের ভিড়ে অনেক পুলিশ ও নীল চাদরে ঢাকা মরদেহ দেখা যাচ্ছে। সেখানে শোক ও উৎকণ্ঠায় ভীতিকর পরিবেশ বিরাজ করছে।
করোনা মহামারি পর এবারই প্রথমবারের মতো মাস্ক ছাড়া উন্মুক্ত স্থানে হ্যালোইন উৎসবের আয়োজন করা হয় সিউলে। হ্যালোইন উদযাপন উপলক্ষে একটি জনপ্রিয় নৈশকেন্দ্র এলাকায় লক্ষ মানুষ জমায়েত হন। সন্ধ্যার আগে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ভিড়কে অনিরাপদ উল্লেখ করে পোস্ট করেছিলেন।
এর আগে প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সিউলে হ্যালোইন চলাকালে প্রচ- ভিড়ের মধ্যে কয়েক ডজন মানুষ একযোগে হার্ট অ্যাটাক করেন। অনেকে শ্বাসকষ্ট বোধ করছেন। দুর্ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল দুর্যোগ মোকাবেলাকারীদেরকে তৎপরতা চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এ ঘটনার পর জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।