স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডাইরিয়া ওয়ার্ডে চারদিন যাবত কলেরা স্যালাইন সাপ্লাই নেই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর করোনা ইউনিটে থাকা ৩০০ কলেরা স্যালাইন ডায়রিয়া ওয়ার্ডে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে করোনা ইউনিটে থাকা রক্ষিত স্যালাইনগুলো ডায়রিয়া ওয়ার্ডে নিতে দেখা যায়। এর আগে গত চারদিন ধরে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কলেরা স্যালাইন সাপ্লাই নেই বলে অভিযোগ করেন রোগী ও স্বজনরা। সরেজমিনে ঘুরে সেবিকা, রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। গত বুধবার রাতে ওয়ার্ডে কোন সরকারি ভাবে কলেরা স্যালাইন পাওয়া যায়নি। দ্বায়িত্বরত সেবিকারাও অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছিলেন, চারদিন যাবত হাসপাতাল থেকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে স্যালাইন দেয়নি কর্তৃপক্ষ। রোগীরা বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনে নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে সরকারিভাবে কলেরা স্যালাইনের সাপ্লাই দিতে দেখা যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের স্টোর কিপার হাদিউর রহমান বলেন, কলেরা স্যালাইনের সংকট আছে। গতকাল সকালে করোনা রোগীদের জন্য করোনা ইউনিটে থাকা ৩০০ কলেরা স্যালাইন ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দেয়া হয়েছে। আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবো। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় “চুয়াডাঙ্গায় সদর হাসপাতালে ৪ দিন যাবত সাপ্লাই নেই কলেরা স্যালাইন, জানেন না সিভিল সার্জন, এক সপ্তাহে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে শিশুসহ ১৪৮ রোগী ভর্তি, বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনছেন রোগীরা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। উক্ত প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আতাউর রহমান বলেন, হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন সাপ্লাই নেই বিষয়টি সঠিক নয়। তবে কলেরা স্যালাইনের সংকট রয়েছে। আমরা চাহিদা পাঠিয়েছি। শিগগিরই কলেরা স্যালাইন চলে আসবে। আমি উক্ত প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।