সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নিতে হবে
চুয়াডাঙ্গায় এইচএসসি পরীক্ষা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক
স্টাফ রিপোর্টার: আগামী ৬ নভেম্বর থেকে চুয়াডাঙ্গায় শুরু হচ্ছে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট-এইচএসসি পরীক্ষা-২০২২। এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষা উপলক্ষে গতকাল বুধবার বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১০ ডিসেম্বর পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ২০২২ সালের এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষায় ২০টি কেন্দ্রে ৮ হাজার ৩৬১ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে এইচএসসি ৫টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ৮৮৪ জন, এইচএসসি (ভোকেশনাল) ১টি কেন্দ্রে ২০৭ জন, এইচএসসি (ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) ৫টি কেন্দ্রে এক হাজার ৯৬১ জন এবং আলিম পরীক্ষায় ৩০৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলকসভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাজিয়া আফরীন ও সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আাজিজুর রহমান বক্তব্য রাখেন। এ সময় জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, দর্শনা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ মফিজুর রহমান, দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দীন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবু রাশেদ, এমএস জোহা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ওমর ফারুক, জীবননগর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জসিম উদ্দীন আহমেদ, সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মামুন-অর-রশীদ, তেতুল শেখ কলেজের প্রভাষক গোলাম কিবরিয়া এবং বিভিন্ন কলেজ ও মাদরাসার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা নিতে হবে। নকল হলে শুধু ছাত্র নয়, কক্ষ পরিদর্শকেও বহিস্কার করা হবে। পড়াশুনার মান কমে যাচ্ছে। পরীক্ষাটা যেনো ভালোভাবে নেয়া হয়। মাদরাসার পরিবেশ ভালো নেই। পরীক্ষার কক্ষগুলো যেনো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকে। প্রতি বছর ২০-২৫টি নতুন বেঞ্চ তৈরি করবেন। পরীক্ষার্থীদের লিখতে যেনো অসুবিধা না হয়। মানসম্মত শিক্ষা না হলে কি অবস্থা হবে। সিসি ক্যামেরা সচল রাখতে হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের যেনো কোনো ঘটনা না ঘটে। সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। নিজ নিজ উপজেলায় পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।