স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার বেগমপুরে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি সদস্য আব্বাস আলীর বিরুদ্ধে। কৌশলে সে স্ট্যাম্প হাতিয়ে নিয়ে নিজের খেয়াল খুশিমতো লেখালেখি করে ভুক্তোভোগি দুবাই প্রবাসি ইউনুচ আলীর নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন তিনি। হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করায় তার প্রতিবাদ এবং অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলোক শাস্তির দাবি তুলে গতকাল শনিবার বিকাল ৫টায় দর্শনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন রেমিটেন্স যোদ্ধা ইউনুচ আলী। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের চিলমারি পাড়ার মৃত হযরত আলীর ছেলে দুবাই প্রবাসি ইউনুচ আলী সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, দুবাই থেকে ৪ বছর আগে ছুটিতে বাড়িতে আসলে একই পাড়ার মৃত আবু ব্যাপারীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আব্বাস আলীর শ্যালক জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চলের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বন্ধুতের দাবিতে আমার নিকট বিদেশে যাবার প্রস্তাব দেয়। আব্বাস আলী আমার প্রতিবেশি হওয়ায় তার শ্যালককে ঢাকাস্থ মেসার্স জিমস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল (আরএল ০৬২৮) এজেন্সির নাম ও ঠিকানা প্রদান করি। এরপর বিগত ২০/০২/২০২০ ইং তারিখে বৈধ ভিসায় ঐ এজেন্সীর মাধ্যমে সকল প্রকার নিয়ম কানুন মেনে জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চল সৌদি আরবে আসে এবং একটি ভালো কোম্পানীর ভিসায় উল্লেখিত কাজে যোগদান করে। এরপর কয়েক মাস পর সে লোভে পড়ে ওই কোম্পানী ছেড়ে নিজ ইচ্ছায় আমাকে কিছু না জানিয়ে অন্য একটি কোম্পানীতে কাজে যোগদান করে। বর্তমানে সে সৌদি আরবের ওই কোম্পানীতেই কর্মরত আছে। পরবর্তী সময়ে বন্ধুত্বের সুবাদে তার দুলাভাই আব্বাস আলী ও বোন দু’জনে মিলে আমার নিকট থেকে জাহাঙ্গীর আলম চঞ্চলের মেয়ের বিবাহের জন্য ৭০ হাজার টাকা ধার হিসেবে গ্রহণ করে। গত কয়েকদিন আগে আমি বাড়িতে এসে ধারের ৭০ হাজার টাকা আব্বাস আলীর নিকট থেকে ফেরত চাই। ধারের টাকা শোধ না দিয়ে আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলে এবং কৌশলে বলপ্রয়োগ করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। আমি পরে জানতে পারি আব্বাস আলী ওই স্ট্যাম্পে তার শাশুড়িকে প্রথম পক্ষ বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করেছেন। অত্র মামলায় বর্তমানে আমি আদালত থেকে জামিনে মুক্ত আছি। আমি আপনাদের মাধ্যমে মিথ্যাবাদি, প্রতারক আলোচিত আব্বাস আলী মেম্বারের মুখোশ উন্মোচনের জোর দাবি জানাচ্ছি। যাতে করে আমার মত আর কাউকে মিথ্যা মামলায় দায়ের করে ফাঁসানো বা হয়রানি শিকার করতে না পারে। সেই সাথে ঘৃণীত এ কাজকে ধিক্কারসহ আব্বাস আলীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।