সুস্বাদু পেঁয়াজু খেতে ভিড় করেন দূর দূরান্তের মানুষ
৩শ’ টাকা নিয়ে পেঁয়াজুর ব্যবসা করে স্বাবলম্বী চন্দ্রবাসের দু’ভাই
রতন বিশ্বাস: ৩শ টাকার অল্প পুঁজি নিয়ে পেঁয়াজুর ব্যবসা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের দুই ছেলে রশিদুল ইসলাম ও মফিজুল ইসলাম। দীর্ঘ বছর ধরে পেঁয়াজু বিক্রি করে এখন তারা স্বাবলম্বী। এই সুস্বাদু পেঁয়াজু খেতে ভিড় করেন দূর দূরান্তের মানুষ।
জানা গেছে, পরিবারের উপার্জনের দায়িত্ব পড়ে দুই ভাইয়ের ওপর। সংসারে হাল ধরতেই কোনো উপায় না পেয়ে চন্দ্রবাস ফুটপাতের ওপর শুরু করেন পেঁয়াজু বিক্রির কাজ। তাদের এ সুস্বাদু পেঁয়াজু খেতে ছুঁটে আসেন বিভিন্ন প্রান্তের ক্রেতারা। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার বেচাকেনা করে ভাগ্যের চাকা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখেই দিন কাটছে তাদের। এখন অবশ্য দুই ভাইয়ের ব্যবসা আলাদা। শুক্রবার ক্রেতাদের সামলানো মুশকিল হয়ে পড়ে। পেঁয়াজু বিক্রেতা রশিদুল ইসলাম জানান, মাত্র ৩শ টাকা নিয়ে প্রায় ১০ বছর আগে চন্দ্রবাস বাজারে রাস্তার পাশে পেঁয়াজু তৈরী করে বিক্রি শুরু করি। দুই ভাই এক সঙ্গে ব্যবসা করি। সংসারের হাল দুই ভাইয়ের ওপর পড়ে। একদিকে সংসার চালাই অপরদিকে টাকা সঞ্চয় করি। ৩ বছর টুকটাক করে ব্যবসা চলে। এরপর আর পেছনের দিকে ফিরে তাকাতে হয়নি। পেঁয়াজু খেতে ছুঁটে আসে বিভিন্ন প্রান্তের ক্রেতারা। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ হাজার টাকার বেচাকেনা হয়। জেলার বাইরে থেকেও এখানে পেঁয়াজু খেতে আসে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
পেঁয়াজু খেতে আসা রফিকুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, সুস্বাদু এই পেঁয়াজুর নাম অনেক শুনেছি। আমি প্রতি শুক্রবার মেহেরপুর থেকে আসি পেঁয়াজু খেতে। এখানে বন্ধুদের সাথে নিয়ে আসি। পাশাপাশি বাড়িতে পরিবারের জন্য নিয়ে যায়। কার্পাসডাঙ্গা থেকে পেঁয়াজু খেতে আসা হাফিজুর রহমান বলেন, প্রতি শুক্রবার এখানে আসি এবং সুস্বাদু পেঁয়াজু খাই। তাদের বানানো পেঁয়াজুর সুনাম আমাদের এলাকার মানুষের মুখে মুখে।