প্রার্থীরা নজরদারিতে রয়েছেন; প্রয়োজনে আমরাও কঠোর হবো
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘আপনারা যদি চান ভালো নির্বাচন হবে। আমাদের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। প্রার্থীরা সবাই নজরদারির মধ্যে আছেন। আগামী ১৫ তারিখ রাত ১২টায় প্রচারণা বন্ধ হবে যাবে। প্রার্থীরা আচরণবিধি মেনে চলবেন। আপনারা যদি আইন-শৃঙ্খলা অবনতি করেন আমরা কঠোর হবো।’ গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধির সাথে আইন-শৃঙ্খলা ও মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আামিনুল ইসলাম খান এসব কথা বলেছেন।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আরাফাত রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল্লাহ আল-মামুন, এনএসআই উপ-পরিচালক জি.এম জামিল সিদ্দিক ও সাবেক অধ্যক্ষ এসএম ইস্রাফিল বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় মতবিনময় সভায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেমদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এসময় চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মনজু ও আরেফিন আলম রঞ্জু, সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. রফিকুল ইসলাম, সদস্য প্রার্থী শহিদুল ইসলাম সাহান, মিজানুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম ও মিরাজুল ইসলাম এবং সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থী সামসাদ রানু বক্তব্য রাখেন। সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেমদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান আরো বলেন, জনগণের প্রত্যক্ষ নির্বাচনে ৩১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭জন নির্বাচিত হবেন। ভোটারদের চেয়ে বেশি ফোর্স থাকবে। ম্যাজিস্টেট্র-আনসার থাকবে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করতে পারবো। কারো দ্বারা প্রভাবিত হবো না। বেঁচে থাকার জন্য নির্বাচিত হতে হবে এমন নয়। সরকারি দায়িত্ব পালন করতে এসেছি, আমরা চলে যাবো। কোন ধরণের সমস্যা হবে না। সবার জন্য সাফল্য কামনা করছি।
পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভোটাররা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। এবার তারা ভোট দিবেন। কেন্দ্র ও কেন্দ্রের বাইরে সশস্ত্র বাহিনী থাকবে। জেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে, বর্তমান সময়ে ও পরেও থাকবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ভোটে টাকা নেয়ার বিষয়ে প্রমাণ সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা নেবো। কোনো কিছু বিশৃঙ্খলা করা যাবে না।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেদ বলেন, ভোট কেন্দ্রের ৪০০ গজের মধ্যে কোনো প্রচারণা করা যাবে না। তবে, ভোটার স্লিপ দেয়া যাবে। ভোট কেন্দ্রে ভোটারসহ কেউ মোবাইল ফোন নিতে পারবেন না। ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা এককভাবে প্রবেশ করে ভোট প্রদান করতে পারবেন। নির্বাচনের সময় ভোটাররা স্মার্ট কার্ড সাথে নিয়ে এলে ভোট প্রদান সহজ হবে। ১৭ অক্টোবর সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে। ৫৬৫ জন ভোটার ভোট প্রদান করবেন। জেলার ৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে দুটি বুথ থাকবে। একটি পুরুষ অপরটি মহিলা বুথ।