লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলার চর্চা হলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি পাবে
চুয়াডাঙ্গায় স্কুলভিত্তিক দলগত দাবা প্রতিযোগিতার উদ্বোধনকালে জেলা প্রশাসক
ইসলাম রকিব: ‘হয়ে ওঠো আগামীর গ্র্যান্ডমাস্টার’ সেøাগানকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় মার্কস অ্যাকটিভ স্কুলস চেস চ্যাম্পস-২০২২ স্কুলভিত্তিক দলগত দাবা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় পুলিশ লাইন ড্রিলসেডে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।
প্রধান অতিথি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান বলেন, দাবা খেলা একটি বুদ্ধিবৃত্তিক খেলা। এ খেলায় শারীরিক কসরত না থাকলেও মানসিকভাবে মেধার বিকাশ ঘটাতে সহযোগিতা করে। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঝে এই খেলার চর্চা হলে তাদের লেখাপড়ার মানবৃদ্ধি পাবে এবং মানসিকভাবে তারা সুস্থ থাকবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দাবা খেলা একটি মনস্তাত্ত্বিক গেম হলেও এই খেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেকোনো অপরাধমূলক কাজ, সামাজিক অবক্ষয়, মাদক এবং কিশোর গ্যাং হয়ে ওঠা থেকে রক্ষা পায়। উদ্বোধনী ঘোষণা শেষে প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান ও সভাপতি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ-আল-মামুন দাবায় চাল দিয়ে খেলার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের উদ্যোগে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সহযোগিতায় এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় ২দিনব্যাপী ওই প্রতিযোগিতা শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আনিসুজ্জামান লালন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলম ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোর্য়াদ্দার। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আবু তারেকের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান কাজল, ট্রাফিক ইনস্পেক্টর ফখরুল আলম, জেলা ক্রীড়া অফিসার আমানুল্লাহ আহম্মেদ, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের জয়েন্ট সেক্রেটারি ইসলাম রকিব, চুয়াডাঙ্গা জেলা ক্রীড়া সংস্থার দাবা উপ-কমিটির আহ্বায়ক নাসির আহাদ জোর্য়াদ্দারসহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা। স্কুলভিত্তিক দাবা প্রতিযোগিতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৮ জন ক্ষুদে দাবাড়– অংশগ্রহণ করে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো আলমডাঙ্গা একাডেমি, ভিক্টোরি যুবলি হাইস্কুল চুয়াডাঙ্গা-১, ভিক্টোরি যুবলি হাইস্কুল-২, গোকুলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দামুড়হুদা হাইস্কুল, চুয়াডাঙ্গা একাডেমি স্কুল ও রেলবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দল। প্রতিযোগিতার খেলাগুলো পরিচালনা করছেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অরবিটারগণ।