মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরে অসুস্থ ছাগলের মাংস ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাবারসহ অন্যান্য সামগ্রী বিক্রির দায়ে মাংস বিক্রেতা ভোদড় আলী, ফল ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম শুভ ও মিষ্টি ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম নামের ৩ ব্যবসায়ীকে এক বছর করে প্রবেশন সাজা দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে মেহেরপুরের বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক এসএম শরীয়ত উল্লাহ এ আদেশ দেন। প্রবেশন সাজাপ্রাপ্ত ভোদর আলী মেহেরপুর শহরের নতুনপাড়ার আব্দুল মান্নানের ছেলে, শরিফুল ইসলাম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামের লোকমান সরদারের ছেলে এবং রাশেদুল ইসলাম গাংনী শহরের থানাপাড়ার রুহুল আমিনের ছেলে।
অসুস্থ ছাগলের মাংস বিক্রি করার সময় গত ৮ সেপ্টেম্বর জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার রিয়াজ মাহমুদ অসুস্থ ছাগলের মাংস সহ ভোদড় আলীকে আটক করেন। ওই ঘটনায় নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ২৬ ও ৩৩ ধারাই বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে এর আগে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ১১ আগষ্ট মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে সুজন ট্রেডার্সের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ মেয়াদবিহীন খাবার খাদ্য দ্রব্য উদ্ধার করেন। ওই ঘটনায় নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৫৮ ধারা এবং তফসিল বর্ণিত ১২ নং ক্রমিকে উল্লেখিত ৩২(গ) ধারা ও ৩৯ ধারায় এবং স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩ আগষ্ট মেহেরপুর সদর উপজেলার মদনাডাঙ্গা গ্রামের আমিন মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে থেকে বিপুল পরিমাণ মেয়াদবিহীন খাদ্য দ্রব্য উদ্ধার করেন।ওই ঘটনায় নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৫৮ ধারা এবং তফসিল বর্ণিত ১২ নং ক্রমিকে উল্লেখিত ৩২(গ) ধারা ৩৩ ও ৩৯ ধারায় পৃথক পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলায় মাংস বিক্রেতা ভোদড় আলী, ফল ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম শুভ এবং মিষ্টি ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম নামের ৩ ব্যবসায়ীকে ১ বছর করে প্রবেশন সাজা দেন। প্রবেশন সাজাকালীন সময়ে ওই ৩ ব্যবসায়ী যদি পুনরায় একই অপরাধ করেন তাহলে তাদের কারাগারে পাঠানো হবে।