চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থীসহ মোট ৩৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সামসুল আবেদীনসহ অংশ নিচ্ছেন সাবেক ১৪ সদস্য
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী প্রার্থীসহ চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়া ৪ সাধারণ সদস্য পদে ১৯জন এবং দুই সংরক্ষিত সদস্য (মহিলা) পদে ১০জন প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচনে বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ সামসুল আবেদীন ও এক ইউপি সদস্য কবির আহম্মদ পদত্যাগ করে নির্বাচনে অবতীর্ণ হয়েছেন। জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান প্রশাসক শেখ সামসুল আবেদীন ও একই পরিষদের আর ১৩ জন সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। মোট ৩৩ প্রার্থীর মধ্যে নতুন মুখ ১৯ জন। তবে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে এবারও লড়ছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের কাছে সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রশাসক শেখ সামসুল আবেদীন, সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু ও আরেফিন আলম রঞ্জু চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এসময় জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটানির্ং অফিসার তারেক আহমেদদ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে নির্বাচন অফিসে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুফতি আব্দুস সালাম মনোনয়পত্র জমা দেন।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে চারটি ওয়ার্ডে ১৯ প্রার্থী ও সংরক্ষিত সদস্য (মহিলা) পদে দুটি ওয়ার্ডে ১০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে (চুয়াডাঙ্গা সদর) পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, চুয়াডাঙ্গা মুক্তিপাড়ার শহিদুল ইসলাম সাহান, বুড়োপাড়া গ্রামের আব্দুর রউফ, শ্রীকোল গ্রামের জহুরুল ইসলাম, নীলমনিগঞ্জ গ্রামের মাফলুকাতুর রহমান সাজু ও রেলপাড়ার মিরাজুল ইসলাম কাবা। সংরক্ষিত সদস্য পদে ১নং ওয়ার্ডে (চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা) পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরা হলেন, আলমডাঙ্গার বগাদী গ্রামের কাজল রেখা, শিবপুর গ্রামের মনিরা খাতুন, এরশাদপুরের সামশাদ রানু, জাহাপুরের বিথী খাতুন ও বোয়ালিয়া গ্রামের হাসিনা খাতুন মনোনয়নপত্র জমা দেন। সদস্য পদে ২নং ওয়ার্ডে (আলমডাঙ্গা উপজেলা) সাতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছন। তারা হলেন, আলমডাঙ্গার বলেশ্বরপুরের আলতাব হোসেন, বৈদ্যনাথপুরের মিজানুর রহমান, মুন্সিগঞ্জ কৃষ্ণপুরের খলিলুর রহমান, খাসকররা গ্রামের এএইচএম মোয়াজ্জোম, পোয়ামারী গ্রামের মজনুর রহমান, এরশাদপুরের জাফরউল্লাহ এবং মধুপুরের তপন কুমার বিশ্বাস জমা মনোনয়নপত্র জমা দেন। সংরক্ষিত সদস্য পদে ২নং ওয়ার্ডে (দামুড়হুদা ও জীবননগর) পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, জীবননগরের শিরিনা পারভীন ও জীবননগরের কহিনুর বেগম, জীবননগরের সোনদাহ গ্রামের নাহার বানু, দামুড়হুদার দলিয়ারপুর গ্রামের আদুরী খাতুন ও পীরপুরকুল্লা গ্রামের ইয়াসমিন খাতুন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ৩নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে (দামুড়হুদা উপজেলা) দশমী গ্রামের শফিউল কবির, হরিশচন্দ্রপুরের লস্কর আলী ও সাড়াবাড়িয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ৪নং ওয়ার্ডে সদস্য পদে (জীবননগর উপজেলা) জীবননগরের আলীপুরের মিতা খাতুন, গঙ্গাদাসপুরের মোসাবুল ইসলাম লিটন, খয়েরহুদা গ্রামের মাহবুবুর রহমান ছটকু ও হাসাদহ গ্রামের কবির আহম্মদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত: জেলা পরিষদ নির্বাচনে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র বাছাই, ২৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন, ২৬ সেপ্টেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতীহীনভাবে ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার ও তারেক আহমেমদ সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন, সদস্য পদে চারজন এবং সংরক্ষিত সদস্য (মহিলা) পদে দুজন নির্বাচিত হবেন। স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত ৫৬৭ জন জনপ্রতিনিধি ভোট প্রদান করবেন।