প্রেমের টানে ঘর ছাড়া মেহেরপুরের স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ; পালিয়ে গেলো প্রেমিক
অভিযুক্ত চার যুবকের বিরুদ্ধে এজহার দাখিল : তদন্তে নেমেছে পুলিশ
মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষনের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ধর্ষকদের বিরুদ্ধে গ্রাম্য সালিস না হওয়ায় দেরিতে হলেও ধর্ষিতার পিতা মেহেরপুর থানায় এজহার দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
জানা যায়, মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের আশরাফপুর গ্রামের ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৫) একই গ্রামের হঠাৎপাড়ার ইয়ারুল ইসলামের ছেলে ইউসুফ আলীর সাথে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রেমের টানে ঘর বাঁধতে গত ২৪ অক্টোবর তারা বাড়ি ছেড়ে পালাবার চেষ্টা করে। তারা আশরাফপুর গ্রামের বটতলার মাঠে পৌঁছুলে কতিপয় যুবক তাদের পিছু নেয় এবং প্রেমিক ইউসুফ আলী পালিয়ে যায়। এসময় ৪ জন যুবক পাকা রাস্তার ধারে নিয়ে ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। প্রেমিক ইউসুফ আলী কয়েকজন ধর্ষক যুবককে চিনে ফেলে। এ ঘটনা জানাজানি হলে গ্রাম্য সালিসের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু গ্রাম্য সালিস না হওয়ায় ওই ছাত্রীর পিতা মেহেরপুর সদর থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি এজহার দাখিল করেন। এরা হলো একই গ্রামের ইপাত আলীর ছেলে লাল্টু (২৮), গাজী হোসেনের ছেলে মো. আলম (২৫), আব্দুস সালামের ছেলে মো. সালমান (২৭) ও বকুল হোসেন (৩০) (পিতা : অজ্ঞাত)। বিতর্কিত ওই ৪ যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্তে নেমেছে এবং গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পুলিশ আশরাফপুর গ্রামে প্রবেশ করে তদন্তের স্বার্থে সাক্ষীদের থানায় নিয়ে যায়। স্বাক্ষীরা হলেন আশরাফপুর গ্রামের আনার আলী, মো. হুমায়ন ও মো. সাদেকুল।
জানতে চাইলে মেহেরপুর সদর থানার এসআই পলাশ জানান, গ্রাম থেকে স্বাক্ষীদের থানায় নেয়া হয়েছে। তবে মামলার বিষয়টি তদন্ত করছেন থানার ওসি (তদন্ত)।
এইখানে তারিখ ভুল হয়েছে। অক্টোবর মাস এখনো হয় নি। অক্টোবর এর জাগায় আগস্ট হবে। ২৪ অক্টোবর এর জাগায়, ২৪ আগস্ট হবে।