পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কটের নেপথ্যের কারিগরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
গাংনীতে প্রেস বিফ্রিংয়ে মেহেরপুর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক
গাংনী প্রতিনিধি: দেশে চাল ও সারের সঙ্কট নেই। সারের ভর্তুকি কমাতে সরকার সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে বলেছেন। বিনা কারণে অতিরিক্ত সার প্রয়োগের যেমনি ফসলের ক্ষেতি তেমনি হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির কবলে পড়ছে দেশ। অথচ এই মিতব্যয়ীতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা দর বাড়িয়ে দিচ্ছে। যাদের মাঝে নেই কোনো দেশপ্রেম। এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও নিত্যপণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক।
চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে উল্লেখ করে বিফ্রিংয়ে এমএ খালেক বলেন, চালের দর কেজিতে ৫-৬ টাকা বেড়েছে যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। অপব্যবস্থার কারণে দর বেড়ে যাচ্ছে। এই অপব্যবস্থাপনা জননেত্রী শেখ হাসিনা কঠোরভাবে মোকাবেলা করছেন। ওএমএস চাল বিক্রির পরিধি বাড়ালে চালের দর আরও কমবে বলে জানান তিনি।
তেলের দর কমানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী লিটারে ৫ টাকা কমানো হয়েছে। আরও কমানো হবে। কিন্তু এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের লোকজন সঙ্কট সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। মানুষের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি করে সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের চক্রান্তে তারা লিপ্ত হয়েছে।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সার সঙ্কট হচ্ছে উল্লেখ করে এমএ খালেক বলেন, সারের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ফলে সারের কৃত্রিম সঙ্কট আর থাকবে না। অপরদিকে কোনো ব্যবসায়ী যদি কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিটি ক্ষেত্রে যারা রাহাজানি চায় তারা দায়িত্বশীল বিরোধী দল নয় অভিযোগ করে তিনি বলেন, তাদের কাজ হচ্ছে সঙ্কট বাড়িয়ে দিয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়া। পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রকল্পেও তারা ষড়যন্ত্রের ঘি ঢেলে দেয়। কিন্তু শেখ হাসিনার দুরদর্শীতায় আজ পদ্মা সেতু হয়েছে। তারা যত ষড়যন্ত্র করুক তা মোকাবেলা করে শেখ হাসিনা সরকার সফল হবে।
বিএনপি-জামায়াত কোন কর্মসূচী দিলে জনগণ আতঙ্কে থাকে উল্লেখ করে এমএ খালেক বলেন, তারা কর্মসূচী দিলে প্রশাসনও চিন্তায় থাকে। অথচ আমাদের শত শত কর্মসূচি হচ্ছে কিন্তু কেউ টেনশনে থাকে না। জনগণ ও প্রশাসন জানে যে আওয়ামী লীগ একটি আদর্শ দল। সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগের একটি ছোট্ট কর্মসূচিতে তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লো। আমি বিষয়টিতে অবাক হয়েছি। আট বছর ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আছি। সহিংসতামুক্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালনে আমি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তা রক্ষা করেছি।
বিএনপি-জামায়াতকে জনবিছিন্ন দল আখ্যায়িত করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক বলেন, তারা মিছিল মিটিং সমাবেশ আর সহিংসতা করে ক্ষমতায় আসবে বলে বিভিন্নভাবে আওয়াজ দিচ্ছে। কিন্তু জনগণ তাদের সঙ্গে নেই বলে পারছে না। রাজনীতি করতে হলে তা-ব করা চলবে না। শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের কর্মসূচি চলবে যা শেখ হাসিনা বলেছেন। কিন্তু কোনোপ্রকার নাশকতা হলে জনগণকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য আমারও পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সরকার যেভাবে জনগণকে সুরক্ষা দিচ্ছে তা ধরে রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।