গড়াইটুপি প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার গহেরপুরে প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে যুবক আশিকুর রহমান আশিক লাপাত্তার ঘটনায় গোপনে ১ লাখ টাকায় মীমাংসা করেছেন বলে জানাগেছে। অভিযুক্ত আশিক ঘটনার পরে আক্ষেপ করে বিভিন্ন জায়গায় বলছে ১ লাখ টাকাও গেলো আবার বউ পেলাম না। ঘটনাটি আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের প্রবাসী সাদিক হোসেনের স্ত্রী সিমলা খাতুনের সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমজ সম্পর্ক করে একইপাড়ার শওকত হোসেনের ছেলে কলেজছাত্র আশিকুর রহমান আশিক। সপ্তাহ খানেক আগে প্রেমজ সম্পর্ক করে ওই মহিলাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন চাপে তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় সবকিছু ম্যানেজ করার জন্য স্থানীয় কিছু দালাল চক্র তাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে কৌশলে পুলিশসহ সবকিছু ম্যানেজ করার জন্য ১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। ঘটনার বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হবার পর অভিযুক্ত যুবক গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ১লাখ টাকাও গেলো কিন্তু বউ পেলাম না বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে ১ লাখ টাকা কার পকেটে গেলো প্রশাসন নাকি কার পকেটে বিষয়টি নিয়ে গ্রামে বেশ আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে, সাদিকের মা বলেন, আমিও শুনেছি ১ লাখ টাকায় মীমাংসা হয়েছে অথচ আমরা টাকা পাইনি। হাসান মীমাংসা করেছে হাসানের কাছে অভিযোগ দেবো। প্রয়োজনে প্রশাসনের দ্বারস্থ হবো।
এদিকে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ অনেকেই বিষয়টি অবগত আছেন বলে জানিয়েছেন তারা। প্রকৃত অর্থে টাকা কার পকেটে সেটাই ধোয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।