স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামানের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং করলেন কৃষকরা। গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। দামুড়হুদা উপজেলার কৃষকদের পক্ষে প্রেসব্রিফিংয়ে শাহিন আলী বলেন, সুবিধাভোগী চক্রটি দামুড়হুদা উপজেলার দক্ষ কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের পেছনে উঠেপড়ে লেগেছে। আমরা জেনেছি ওই চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা খবর প্রকাশের হুমকি দিয়ে কৃষকের অনুকূলে বরাদ্দ ভর্তূকি মূল্যে কৃষিযন্ত্র এবং ভর্তূকির বীজ, সার ও অর্থ হাতিয়ে আসছেন। এই চক্রের কারণে প্রকৃত-প্রান্তিক কৃষকেরা তাদের হক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রিয় কলম সৈনিকেরা আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে সমস্যা কৃষি অফিসার আর সাংবাদিকের মধ্যে, এখানে কৃষকরা কেন প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আমাদের জানা মতে এম নুরুন্নবী, শামীম রেজা, মোজাম্মেল হক, মিরাজুল ইসলাম, তসজিলুর রহমানসহ কথিত সাংবাদিক নামধারীরা কৃষি অফিসে বিভিন্ন সময় ভর্তূকি ও আর্থিক সুবিধা নিয়ে থাকেন। যে শামীম রেজাকে নিয়ে ঘটনা, সেই শামীম রেজা নিজে এবং তার বাবাও পেঁয়াজ বীজের আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন এবং শামীম রেজার ব্যক্তিগত বিকাশ নম্বরেই তা জমা হয়েছে। আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী এম নুরুন্নবী পেঁয়জের ভর্তূকির ২ হাজার ৮০০ টাকা ছাড়াও নিয়েছেন যন্ত্রখাতে ভর্তূকির ৫ লাখ ৮১ হাজার টাকা। যা আপনারা খোঁজ নিলেই প্রমাণ পাবেন। যারা অনৈতিক সুবিধা নিয়ে কৃষকদের দিনের পর দিন বঞ্চিত করে আসছেন, তাদের হঠাৎ করেই কৃষক দরদী হতে থেকে আমরা হতবাক হয়েছি। আমরা এ কারণে আমরা সত্যের পক্ষে অবস্থান নিয়েছি। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি সংগঠন সি.আই জি’র (কমন ইন্টারেস্ট গ্রুপ) সভাপতি সামসুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, কৃষক নুর ইসলাম ও ইসলাম আলী প্রমুখ। এদিকে সাংবাদিক শামীম রেজা বলেন, দুর্নীতিবাজ কৃষি অফিসার লোক ভাড়া করে তার পক্ষে গুটি কয়েক কৃষক নিয়ে তার দুর্নীতি ঢাকার জন্য দৌড়ঝাপ করছেন। উনি যদি ভালো বা ভদ্র মানুষ হতেন তাহলে তথ্য চাইতে গেলে ঘরের দরজা বন্ধ করে লাটি পেটার কথা বলতেন না। এদিকে কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভুর্তকীর বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবী বলেন, বিষয়টি কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামানের মনগড়া ও কল্পনাপ্রসূত। আমি অন্যায়ভাবে কোন ভর্তুকি কৃষি অফিসারের কাছ থেকে গ্রহণ করেনি। আমি প্রতিযোহিতার মাধ্যমে নদী ‘এগ্রো’ প্রাইভেট কোম্পানির নামে সরাসরি মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি যন্ত্রপাতি পেয়েছি। যেখানে সরকার ৪০শতাংশ এবং আমার কোম্পানী ৬০শতাংশ অর্থ প্রদান করেছে। যন্ত্রপাতিতে ভুর্তূকির বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, ‘নদী এগ্রো প্রাইভেট কোম্পানী দামুড়হুদা কৃষি অফিসের মাধ্যেমই আবেদন করে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার ভুর্তকী পেয়েছেন। কিন্ত সেগুলো ব্যবহার না করে ফেলে রেখে কৃষিতে সরকারের লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। প্রেস ব্রিফিং শেষে সি আই জি কৃষি সংগঠনের সদস্যরা চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানব বন্ধন করেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ