ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুরের আজমপুর ইউনিয়নের নওদাগ্রাম এ পরকীয়ার জের ধরে দুই সন্তানের জননী ৩৫ বছর বয়সী গৃহবধূ মোছাঃ শারমিন খাতুন ও একই গ্রামের ৩৮ বছর বয়সী ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক হোসেনের হাত ধরে উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবং তারা সম্পর্কে ফারুক হোসেনের মামী হয় বলে জানা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) রাত দুইটার দিকে। স্থানীয়রা জানান,মোছাঃ শারমিন খাতুন উপজেলার নওদাগ্রাম গ্রামের মইদুল ইসলামের স্ত্রী এবং তার বিবাহিত একটি ১৯ বছরের কন্যা সন্তান ও ৮ বছর বয়সের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এদিকে মোঃ ফারুক হোসেন একই গ্রামের মোঃ ইদ্রিস আলী ছেলে এবং তারও ১৩ বছর ও পাঁচ বছরের দুইটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী মইদুল ইসলাম দুপুরে মহেশপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের ও পরকীয়ার সম্পর্ক চলে আসছিল। এবং মইদুল ইসলামের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করত। প্রত্যক্ষ সূত্রে জানা যায় গেল রাত দুইটার দিকে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে টয়লেটে যাওয়ার জন্য ঘর থকে বের হয় শারমিন খাতুন। টয়লেট থেকে আসতে দেরি হওয়ায় স্বামী মইদুল ইসলাম ঘর থেকে বের হয়ে দেখে তার স্ত্রী টয়লেটে নাই, পরে তার পরিবারের সকলে মিলে বাড়ির আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তাকে পাওয়া যায় নাই।পরিবার সূত্রে আরো জানা গেছে, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার যা কিছু ছিল সবকিছুই নিয়ে লম্পট ফারুক হোসেনের সাথে চম্পট দিয়েছে । ঘরে নেই টাকা পয়সা, তার উপর ছোট ছেলে মায়ের শোকে অনাবর্ত কান্না, আর বড় মেয়ের অসহায় চাহনীর কাছে মইদুল ইসলাম একান্ত অসহায় কিংকর্তব্যবিমূঢ়। এদিকে গৃহবধুর উধাও এর খবরে স্বামী মইদুল ইসলাম বড় মেয়ে ও ছোট ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। একই অবস্থা ফারুক হোসেনের স্ত্রী’র। তিনিও স্বামীকে হারিয়ে দুটি কন্যা সন্তান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে আরও জানা যায়, ইউপি সদস্য থাকাকালীন মোঃ ফারুক হোসেন একাধিক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের ও পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে। এবং বিভিন্ন অসহায় নারীর সরকারি ভাতা ও কার্ড দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন হোটেলে সময় কাটানোর অভিযোগ ও পাওয়া যায়।