আফজালুল হক: চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে ধরা পড়লো বিলুপ্তপ্রায় ‘বামোশ’ মাছ। সোমবার সকালে উপজেলার মুন্সিগঞ্জ শ্বশানঘাট এলাকায় আব্দুল হামিদ নামে এক যুবকের জালে মাছটি ধরা পড়। বিলুপ্তপ্রায় মাছটি অনেকে নামই জানে না। চোখেও দেখেনি কখনো। হাট-বাজারেও তেমন দেখা মেলে না মাছটির। বিরল প্রজাতির মাছটি দেখতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। আব্দুল হামিদ বলেন, মুন্সিগঞ্জ পশুহাটে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ‘শখের বসে জাল দিয়ে মাছ ধরতে মাঝে মধ্যেই মাথাভাঙ্গা নদীতে আসি। আজ প্রথম এই বিরল প্রতাজির মাছ পেয়েছি। মাছটির ওজন প্রায় ৩ কেজির বেশি। লম্বাই তিন ফুট হবে। এলাকার জয় নামে আরও একজন পেয়েছে এই প্রতাজির ছোট মাছ। অনেকে অনেক নাম বললেও সঠিক কেউ বলতে পারেনি। অনেকে বেশি দাম দিয়ে আমার কাছ থেকে কিনে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আমি বিক্রি করিনি।’ মাছটি দেখতে স্থানীয়রা ভিড় করছেন বাড়িতে। অনেকে বলছেন এটা সামুদ্রিক মাছ, অনেক সুস্বাদু। রাতে রান্না করে পরিবারকে নিয়ে খাবো। আলমডাঙ্গা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুন্নাহার আঁখি বলেন, এটা বড় বাইন বা বামুশা বা দেশি বড় বাইন বা বাও বাইম বা রাজ বাইম বা বানেহারা বা বামোশ। এর (বৈজ্ঞানিক নাম: অহমঁরষষধ নবহমধষবহংরং) হচ্ছে অ্যাঙ্গিলিডি পরিবারের মাছ। এখন খুব একটা দেখা যায় না। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এই মাছটি সংরক্ষিত প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল ১ অনুযায়ী ২৫টি প্রজাতি এবং তফসিল ২ অনুযায়ী ২৭টি প্রজাতির, মোট ৫২ প্রজাতির মাছকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ আইন অনুসারে এই ৫২ প্রজাতির মাছ শিকার, বিক্রয় ও বিপণন বাংলাদেশের আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত। তিনি আরও বলেন, মাথাভাঙ্গা নদীতে মৎস্য অধিদপ্তরের অভয়াশ্রম ছিলো। তখন হয়তো এর আশেপাশে বংশবৃদ্ধি করেছিলো।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ