দর্শনা অফিস: পৌর কাউন্সিলর ও সহকারি প্রকৌশলীর মধ্যে সৃস্ট দ্বন্দ্ব দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাউন্সিলরের বিপক্ষে মানববন্ধন ও প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করলেন মিকা। দর্শনা পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী সাজেদুল আলমের আনিত অভিযোগ সব মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবী করেই সাংবাদিক সম্মেলন করেন ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাবির হোসেন মিকা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে দর্শনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাবির হোসেন মিকা বলেন, বাজারের এক ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্সকে কেন্দ্র করে সাজেদুল আলমের সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। ট্যাক্স পরিশোধ সত্ত্বেও ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি খুব খারাপ আচরণ করেন, সেই সাথে জানান এ কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নয়। শুধুমাত্র কথা কাটাকাটি ছাড়া কোন ধরণের হামলা-মারামারির ঘটনা ঘটেনি। আমি যদি প্রকৌশলীর উপর হামলা করে থাকি তবে প্রশৌলীর কক্ষের সিসি টিভি ক্যামারার ফুটেজ দেখলেই সত্য উন্মোচন হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর হাসান খালেকুজ্জামান, বিল্লাল হোসেন। এ ছাড়া সাংবাদিকদের মধ্যে ছিলেন, দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আওয়াল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এসএম ওসমান, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মনিরুজ্জামান ধীরু, সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হানিফ মন্ডল, ইকরামুল হক পিপুল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল মেহমুদ, আহসান হাবীব মামুন, জাহিদুল ইসলাম, ওয়াসিম রয়েল, সুকমল চন্দ্র দাস বাধন, আবিদ হাসান রিফাত, আফজাজুল হক বাদল, ইয়াছিন জুয়েল প্রমুখ। উল্লেখ্য গত ১৭ জুলাই দুপুর ১২ টার দিকে দর্শনা পৌরসভায় জনৈক ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্সকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর সাবির হোসেন মিকা ও পৌর প্রকৌশলী সাজেদুল আলমের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃস্টি হয়। সাজেদুল আলমের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ তোলা হয় মিকার বিরুদ্ধে। এ মর্মে মিকার বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় লিখিত অভিযোগ এবং ১৮ জুলাই বিকালে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন করে।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ