স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় চলন্ত ট্রেন থেকে ছবি তোলার সময় পড়ে রোহান (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল বিকেল ৬ টার দিকে খুলনাগামী নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা শহরের বেলগাছি ও ফার্মপাড়ার মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছুলে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যায় রোহান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত রোহান চুয়াডাঙ্গা জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের সেনেরহুদা গ্রামের ক্লাবপাড়ায় সিএনজি চালক রায়হানের ছেলে ও উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল বিকেলে খুলনাগামী নকশীকাঁথা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চুয়াডাঙ্গা শহরের বেলগাছি ও ফার্মপাড়ার মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছুলে চলন্ত ট্রেন থেকে একজনকে পড়ে যেতে দেখি। পরে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রথমে পরিচয় শনাক্ত করা না গেলেও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে আসে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নূর জাহান রুমি বলেন, ওই কিশোরের মাথা, পাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। কান দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আহত রোহানকে নিয়ে পরিবারের সদস্যরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে চুয়াডাঙ্গা ত্যাগ করেন। অ্যাম্বুলেন্স চালক রাশেদ বলেন, ঝিনাইদহ জেলার হাটগোপালপুর পৌছালে তার অবস্থার অবনতি হয়। সেখান থেকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মী রাসেল হোসেন মুন্না বলেন, নিহত রোহানের বাড়ির পাশেই আমার বাড়ি। সে টিকটক, ছবি তোলার জন্য প্রায় ট্রেনযোগে চুয়াডাঙ্গায় যাতায়াত করতো। আজ ট্রেনে করে বাড়ি ফেরার পথে ছবি তুলছিলো। এসময় তার হাত ট্রাফিক সিগন্যাগে লেগে পড়ে যায়। তিনি আরও বলেন, তার মা প্রাবাসী। বাবা সিএনজি চালক। বাবার সাথেই থাকতো রোহান। রাত ১২টার দিকে মরদেহ বাড়ীতে পৌঁছুলে কান্নায় ভেঙে পড়ে স্বজনরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি মাহব্বুর রহমান বলেন, চলন্ত ট্রেনে রেলের ট্রাফিক সিগন্যালে হাত বেধে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নেই। রাতে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।