মেহেরপুরে শিক্ষক-ছাত্রদের ভালবাসায় আবেগে আপ্লুত ১৯৯৮ সালের এসএসসি ব্যাচ

 

মেহেরপুর অফিস: বন্ধুদের সাথে আড্ডা, খুনসুটি, শিক্ষকদের আদর ভালোবাসা, সেন্হ আর শাসন এই নিয়েই তো স্কুল জীবন। ছোট্ট বেলার সেই স্মৃতি ভুলতে পারেই বা কয়জন। জীবনের একটি সময় জীবিকার তাগিদে সবাইকে যেতে হয় কর্মজীবনে। দায়িত্ব নিতে হয় পরিবারের। হয়তোবা বন্ধুগুলো চেখের আড়াল হয়, তাই বলে কি তাদের ভুলে থাকা যায়।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে মেহেরপুরের জেলা পরিষদের হলরুমে মিলিত হয়েছিলো মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের এসএসসি ১৯৯৮ সালের ব্যাচের বন্ধু ও শিক্ষকরা। সাথে ছিলো আগের ব্যাচের একজন বড় ভাই। হাসি, আড্ডা আর স্মৃতিচারণে কিভাবে যে পার হলো দুটি ঘণ্টা তা হয়তো কেউই টেরই পাননি। শিক্ষকদের আবেগঘন স্মৃতিতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও সবাই ফিরে গিয়েছিলো শৈশবের স্মৃতিমাখা দিনগুলোতে। তৈরি হয়েছিলো এক আবেগঘন পরিবেশের। যেখানে শিক্ষকরা তুলে ধরলেন স্কুল জীবনের শাসন আর ভালোবাসার গল্পগুলো। তাদের হাতে গড়া ছাত্রগুলো যে আজ কেউ চিকিৎসক, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলের শিক্ষক। কেউবা ব্যবসায়ী আর কেউবা রয়েছে সাংবাদিকতায়। তাদের নিয়ে গর্বের শেষ নেই শিক্ষকদের। তবে এখনও যে সব ছাত্র পিছিয়ে রয়েছে তাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালেন শিক্ষকরা।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শিক্ষক ও স্কুল জীবনের বড় ভাইদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় ১৯৯৮ এসএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। পরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এ ব্যাচের ছাত্র, মুন্সী রাশেদুল হক সজিব। সঞ্চালনা করেন মীর দানিয়েল হোসেন রনি।

বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনিসুজ্জামান, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল মান্নান, এসএসসি ১৯৯৭ সালের সভাপতি ও এনআইসিভিডি এর কার্ডিও লজিস্ট ডা. মো. কাজল আলী। পরে ১৯৯৮ সালে এসএসসি ব্যাচের নব-নির্বাচিত কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, চ্যানেল ২৪’র সেরা প্রতিবেদক হওয়ায় স্টাফ রিপোর্টার রাশেদুজ্জামান ও এশিয়ান টেলিভিশনের সেরা সংবাদদাতা হওয়ায় মিজানুর রহমান জনিকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More