স্টাফ রিপোর্টার: সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে বেসরকারি বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন তিন দিন পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আরিফুল ইসলাম আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার কথা জানান। তিনি বলেন, নতুন করে এখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আর কোনো আশঙ্কা নেই। এই মুহূর্তে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি ডিপোটি এখন বিপদমুক্ত বলেও জানান তিনি।
শনিবার রাতে আগুনের সূত্রপাত। এরপর থেকে ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সংস্থা এবং সেনাবাহিনীর সহায়তায় মঙ্গলবার দুপুরের আগে নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে আগুন ও বিস্ফোরণে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া ডিপোর ভেতর থেকে নিহত আরও দুজনের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৩। এর আগে ৪১ জনের লাশ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে প্রশাসন। নতুন উদ্ধার হওয়া দুজনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তবে এর মধ্যে একজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২২ জনের লাশ শনাক্তে গ্রহণ করা হয়েছে ৩৯ জনের নমুনা। শনাক্ত হতে সময় লাগতে পারে অন্তত এক মাস। ততদিন পর্যন্ত লাশগুলো থাকবে চমেক হাসপাতালের মর্গে। এখন পর্যন্ত শনাক্ত ২৬ জনের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়েছিলো ১৬ জনকে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা শঙ্কটাপন্ন বলে জানা গেছে।
এদিকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘এখন শুধু ধোঁয়া বের হচ্ছে। কিছু কাপড় বোঝাই কনটেইনার রয়েছে। সেগুলো থেকে মাঝে মধ্যে আগুন দেখা গেলেও ছড়িয়ে পড়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, এখানে প্রায় চার হাজারের মতো কনটেইনার ছিল। কনটেইনারগুলো একটার ওপর একটা সারি করে রাখা ছিল। সেনাবাহিনীর সহায়তায় নিচেরটি বাদ দিয়ে ওপরেরগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নিচে যে কনটেইনার ছিল সেগুলোও একের পর এক সরানো হচ্ছে। সেনাবাহিনী এখন ফায়ার সার্ভিসকে নিয়ে ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করেছে। খুব সতর্কতার সঙ্গে এখানে কাজ হচ্ছে। যাতে নতুন করে কোনো বিস্ফোরণ না ঘটে।’
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ