পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগানোর অভ্যাস করি – চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক

স্টাফ রিপোর্টার: ‘একটাই পৃথিবী’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২২ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল রোববার বেলা ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদিক্ষণ করে একই স্থানে শেষ হয়। এরপর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাজিয়া আফরীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সভায় পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, সদর ইউএনও শামীম ভূইয়া ও অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যের মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. আলী জিন্নাহ, প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিল্লাল হোসেন, সাংবাদিক অ্যাড. রফিকুল ইসলাম ও কণ্ঠশিল্পী আব্দুল লতিফ শাহ বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার বিএম তারিক-উজ-জামান।

আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের দেশ প্রাকৃতিক দূর্যোগ প্রবণ দেশ। আমাদের করণীয় বিষয়গুলো করতে হবে। গাছ লাগানো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগানোর অভ্যাস করি। তাহলে প্রাকৃতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। পলিথিনগুলো পুড়িয়ে ফেলা যায়। খাদ্যের আবর্জনা দিয়ে জৈব সার তৈরি করা যায়। পেস্টিসাইড কৃষকরা ব্যবহার করছে। তার জন্য শরীরে রোগ বালাই হচ্ছে। সেজন্য জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। শব্দ দূষণ পরিবেশ নষ্ট করে। উচ্চস্বরে মাইক ব্যবহার করে। যেটা নিঃসপ্রয়োজন। এতে পরিবেশ নষ্ট হয়। অক্সিজেন, আলো, বাতাস ফ্রি করে দিয়েছেন। করোনাকালে টাকা দিয়ে অক্সিজেন কিনতে হয়েছে। আমাদের ধরণী আমাদের রক্ষা করতে হবে। আমাদের যে শিক্ষার্থী রয়েছে তাদের জানাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ১০টি গোলের মধ্যে পরিবেশ একটি রয়েছে। আমাদের সকলে মিলে দেশের, জেলার ও এলাকার পরিবেশ ঠিক রাখবো।

সভায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূইয়া বলেন,পরিবেশ রক্ষায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে পাইলটিং প্রোগ্রাম চালু করা হবে। প্রতিটি বাড়ি থেকে বর্জ্য অপসারণের জন্য ভ্যানগাড়ির ভাড়া বাবদ ৫০ টাকা হারে ফি নেয়া হবে। ময়লা ও রক্ত মাথাভাঙ্গা নদীকে দূষণ করছে। এজন্য সসøটার হাইজ তৈরি পরিকল্পনা করা হয়েছে। বুজরুকগড়গড়ি এলাকায় বর্জ্য অপসারণ শোধনাগার নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। এই বছরের মধ্যে সেটি শেষ হবে। আমরা যদি সচেতন না হয় তাহলে হবে না। পলিখিন মারাত্মক দূষণ করে পরিবেশকে।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More