দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অভিযোগের সত্যতা পেলেন
জীবননগর ব্যুরো: অধ্যক্ষসহ অধিকাংশ শিক্ষক নিয়মিত আসেন না, ক্লাস হয় না, করোনাকালীন রুটিন এখনো চলমান; দীর্ঘদিন ধরে এমন অভিযোগ পাচ্ছিলেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় আকস্মিক পরিদর্শনে যান কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ইউএনও আরিফুল ইসলাম রাসেল। পরির্দশনকালে তিনি কলেজটির চরম অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করেন। কলেজ সময়ে এ সময় তিনি একজন শিক্ষক, হিসাব রক্ষণ, একজন এমএলএসএস ও প্রথম বর্ষের কয়েকজন ছাত্রীকে দেখতে পান।
এ বিষয়ে তিনি গতকালই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগে একটি লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, জীবননগর সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত ক্লাস হয় না। কলেজটিতে ঠিকমতো আসেন না শিক্ষকগণ। চরম অব্যবস্থাপনা আর হ-য-ব-র-ল অবস্থার মধ্যে চলছে সরকারি এ কলেজটি। এমন অভিযোগ পেয়ে আসছিলেন কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম রাসেল। অভিযোগের সত্যতা দেখতে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি আকস্মিক কলেজটিতে পরিদর্শনে যান। পরিদর্শনে গেলে তাকে দীর্ঘক্ষণ কলেজ গেটের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করার পর একজন এমএলএসএস এসে গেট খুলে দিলে তিনি ভেতরে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি কলেজটিতে বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলী মোর্তুজা, প্রধান সহকারী আমিরুল ইসলাম ও এমএলএসএস শরিফা খাতুনসহ প্রথম বর্ষের ১০-১৫ জন ছাত্রীকে দেখতে পান। কলেজ অধ্যক্ষসহ আর কোন শিক্ষককে এ সময় তিনি কলেজে ক্যাম্পাসে দেখতে পাননি। করোনাকালীন রুটিন দিয়ে এখনো কলেজটি পরিচালিত হচ্ছে বলে তিনি জানতে পারেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম রাসেল বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি অভিযোগ পাচ্ছিলেন কলেজটির এমন চরম অব্যবস্থাপনার। অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি গতকাল কলেজটিতে পরিদর্শনে গিয়ে এমন বেহলা অবস্থা দেখে চরম হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ৩-৪ মাস হচ্ছে করোনার বিধিনিশেষ শিথিল করা হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ সেদিকে নজর না দিয়ে পূর্বের রুটিনে কলেজটি পরিচালনা করা হচ্ছে। এটা চরম গাফিলতি। এভাবে একটি সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারে না বলে জানান তিনি।