স্টাফ রিপোর্টার:
অধিক মুনাফার আসায় সয়াবিন তেল মজুতের অভিনব কৌশল নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গোডাউনের সামনে সিগারেটের প্যাকেট রেখে ভেতরে দুই হাজার লিটার সয়াবিন তেল মজুত করে রাখা হয়েছে। অথচ ক্রেতাদের বলা হচ্ছে, মিলাররা তেল দিচ্ছে না; তাই সংকট চলছে। আর এভাবেই বিক্রি না করে অবৈধভাবে মজুত করে বাড়ানো হচ্ছে ভোজ্যতেলের দাম।
রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আকস্মিক অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে এ ধরনের প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এভাবে অবৈধভাবে তেল মজুত করার অপরাধে বিসমিল্লাহ স্টোর নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার ও মো. মাগফুর রহমান।
এ বিষয়ে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে খুচরা বাজারে তেলের দাম বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তেলের সরবরাহ কম, তাই দাম বাড়ছে। কিন্তু আমরা মিল পর্যায়ে খোঁজখবর নিয়েছি। তারা জানিয়েছেন, মিলগুলো প্রতিদিন চাহিদা অনুযায়ী ডিলারদের তেল সরবরাহ করছে। তাহলে তেল যাচ্ছে কোথায়?
পরে কয়েকজন ব্যবসায়ীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের দোতালায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় দেখা যায়, বিসমিল্লাহ স্টোর নামের প্রতিষ্ঠানটির গোডাউনের সামনে সিগারেটের প্যাকেট রেখে পেছনে তেল মজুত করে রেখেছে। অথচ তারা ক্রেতাদের বলছে, তাদের গোডাউনে তেল নেই, সরবরাহ কম। এই অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান বেশি দামে তেল বিক্রি করায় তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করা হয়। অবৈধভাবে তেল মজুতের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ফেলে অভিযান অব্যাহত থাকবে। তেলের পাশাপাশি এদিন মুরগির বাজারেও অভিযান করা হয়। বেশি দামে মুরগি বিক্রি করায় আরেকটি দোকানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।