স্টাফ রিপোর্টার: কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরম আরও কমপক্ষে দুইদিন সহ্য করতে হবে। সিলেট ছাড়া দেশের অধিকাংশ এলাকাজুড়ে দাবদাহ বইছে। আগামী শুক্রবারের আগে তা সামান্যই কমতে পারে। শুক্রবার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এমনটা বলা হয়েছে।
দেশের বেশির ভাগ এলাকার আকাশে মেঘের সামান্য আনাগোনা বেড়েছে। এতে দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমেছে। তবে এতে গরমের অনুভূতি খুব বেশি কমেনি। দেশের বড় শহরগুলোতে তাপমাত্রা কমার হার উনিশ বিশ হলেও গরম কমার কোনো হেরফের হয়নি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক এ ব্যাপারে বলেন, আগামী ২৯ এপ্রিল বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। তার এক-দুই দিন আগে মেঘের ঘনঘটা বাড়তে পারে। ফলে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে তাতে গরমের তীব্রতা সামান্যই কমবে। বৃষ্টি শুরু হলে তা কয়েকদিন ধরে চলতে পারে। তখন গরম কমে আসবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গত রোববার ও সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিলো ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার তা কমে হয়েছে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা রাজশাহীতে রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ছিলো ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর বাইরে ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, রাঙামাটি, মাদারীপুর ও পাবনায় মৃদু থেকে মাঝারি দাবদাহ বয়ে গেছে। ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ বড় শহরের তাপমাত্রা দাবদাহের কাছাকাছি অর্থাৎ ৩৫ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ছিলো। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো সিলেটে ১৭ ডিগ্রি সেলিয়াস।
আবহাওয়া বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আক্কু ওয়েদারের হিসেবে, ঢাকাসহ বেশির ভাগ শহরের তাপমাত্রা পারদের হিসেবের চেয়েও কমপক্ষে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি অনুভূত হচ্ছে। শহরের কংক্রিটের অবকাঠামো, পিচঢালা সড়ক আর যানবাহনের ধোয়া এবং ধুলার কারণে বেশি তাপমাত্রার এই অনুভূতি হচ্ছে বলে আবহাওয়া ও পরিবেশ বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ