স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে যুবদলের নবগঠিত কমিটির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জেলা যুবদল। গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে গত ৭ এপ্রিল জীবননগর উপজেলা যুবদলের অর্ন্তভূক্ত ৮টি ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি জীবননগর উপজেলা যুবদল অনুমোদন দেয়া হয়। এর একদিন পর ৮ এপ্রিল উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব কামরুল ইসলাম ও জীবননগর উপজেলা যুবদলের ২০/০৩/২০২০ইং তারিখে বহিস্কৃত ৫নং যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন শামীম স্বাক্ষরিত জীবননগর উপজেলা ৮টি ইউনিয়ন যুবদলের পাল্টা আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন। জকির হোসেন শামীম স্বাক্ষরের নিচে নিজেকে জীবননগর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক দাবী করেন। আমার জানামতে অদ্য ২০/০৩/২০২০ খ্রি. তারিখের সংগঠনের শৃংঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আজ (গতকাল বুধবার) ১৩/০৪/২০২২ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত বহিস্কার আদেশ প্রত্যহার হয়নি। গত ১২/০৪/২০২২ খ্রি. তারিখে আন্দুলবাড়ীয়া হাইস্কুল মাঠে পাল্টা কমিটির সংবর্ধনার আয়োজন করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সদস্য সচিব কামরুলের উপস্থিতিতে জীবননগর উপজেলা যুবদলের ৫নং বহিস্কৃত যুগ্ম-আহ্বায়ক জকির হোসেন শামীম সংবর্ধনা চলাকালে ইউনিয়ন যুবদলের নেতৃবৃন্দ জাকির হোসেন শামীমকে বহিস্কৃত নেতা বলে প্রত্যাখান করেন। প্রত্যাখান করলে জাকির হোসেন শামীম জেলা যুবদলের প্যাডে স্বাক্ষরিত বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহারের চিঠি দেখান এবং বলেন শামীম জেলা যুবদল আমার ০৯/১০/২০২১ খ্রি. তারিখে বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করেছে বলে একটি চিঠি জনসম্মুখে তুলে ধরেন। উক্ত চিঠিটি জেলা যুবদলের সভাপতি শরিফুজ্জামান সিজারের স্বাক্ষরটি সঠিক থাকলেও আমি সাইফুর রশিদ ঝন্টু সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরটি নকল করা হয়েছে। উক্ত স্বাক্ষরটি নকল করে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। অতএব বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নিরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুটু নিকট আমার স্বাক্ষর জাল করে সংগঠন ও আমার নিজের যে ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন তা কখনই পূরণ হওয়া না। জীবননগর উপজেলা যুবদলের বহিস্কৃত ৫নং যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব কামরুল ইসলামসহ জড়িত সকলকে সংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
পূর্ববর্তী পোস্ট
পরবর্তী পোস্ট
এছাড়া, আরও পড়ুনঃ