সালাউদ্দীন কাজল: সরকারের ডিজিটাল দেশ গড়ার কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে জীবননগর উপজেলার সবগুলো ইউনিয়ন পরিষদে। প্রান্তিক মানুষ এখন ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় নানা তথ্য পাচ্ছেন। আধুনিক প্রযুক্তির সংস্পর্শে এসে বদলে যাচ্ছে তৃণমূল মানুষের জীবন ধারা। জেলা শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরের এ উপজেলাবাসীর ৬০ ভাগ মানুষ সরাসরি এখন তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকে উপকার গ্রহণ করছেন।
জানা গেছে, তথ্যসেবা কেন্দ্র ইউনিয়নবাসীর বিনোদনের চাহিদাও পূরণ করছে। প্রায়ই পরিষদগুলোর ভবনে বড় পর্দায় সরকারের নানা কর্মপরিকল্পনার পাশাপাশি কৃষকদের সচেতন করতে আধুনিক চাষাবাদের কলাকৌশলসহ সার কীটনাশকের ব্যবহারবিধি তুলে ধরা হচ্ছে। এসব কর্মকান্ডের মধ্যদিয়ে তৃণমূল মানুষের সচেতনতা অনেক বেড়েছে বলে জানালেন রায়পুর গ্রামের বাসিন্দা মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, এখন মাত্র ১০ টাকা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজ তোলা সম্ভব হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার ফলাফল, চাকরির দরখাস্ত, ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য ইন্টারনেটে ফরম পূরণ করার সুযোগ পাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকে।
উথলী ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যসেবা কেন্দ্র পরিচালনাকারী মো. আকরাম হোসেন জানান, প্রতিদিন এখান থেকে স্বল্প খরচে দেশ-বিদেশে ইন্টারনেটে সরাসরি কথা বলা, ছবি প্রিন্ট, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম পূরণ, সার্টিফিকেট ল্যামিনেটিং, ডাটা এন্ট্রিসহ নানা কাজে মানুষ আসছেন।
উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ জানালেন, প্রযুক্তিগত যতোপ্রকার সুফল আছে তা প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে তথ্যসেবা কেন্দ্র সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়। এখান থেকে প্রতিদিন গড়ে ২শ’ মানুষ সেবা গ্রহণ করছে।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম জানান, তথ্যসেবার উদ্যোক্তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান কর্মসূচি অব্যাহত আছে। তাছাড়া এসব তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকে যেনো তৃণমূল মানুষের সেবা নিশ্চিত হয় সে লক্ষ্যে প্রশাসনের নিয়মিত মনিটরিং কাজ চলমান আছে।