স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার সাংবাদিক মাহফুজ আলমকে সংবাদ প্রকাশের জেরে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে আবু শামার বিরুদ্ধে।গত ২১ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১১টায় পোকামারি গ্রামের পুকুরে মাছচাষ নিয়ে বিরোধের জেরে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন আহত হয়। ওই সংঘর্ষে আন্দুলবাড়ীয়া আবুশামা ও খাসপাড়া হারুন ম-ল, রাশেদ ম-ল ও হাসানের সাথে সংঘর্ষ হলে দুইপক্ষের দুজন আহত হয় পরবর্তীতে উভয়পক্ষ থানায় মামলা দায়ের করে। আবু সামার ভাই বাদী হয়ে থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। গত মঙ্গলবার পুনরায় চুয়াডাঙ্গা কোর্টে মূল আসামি রাশেদ ম-লকে টাকার বিনিময়ে বাদ দিয়ে সাংবাদিক মাহফুজ আলমসহ আরও দুজন ব্যক্তিকে আসামি করে মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তার বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন মানুষের নামে এভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে আবুশামার বিরুদ্ধে।
জানাগেছে, গত শুক্রবার দুপুর আনুমানিক ১১টার দিকে আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের পোকামারি গ্রামে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে খাসপাড়া গ্রামের হারুণ ম-ল ও তার চাচাতো ভাই রাশেদের সাথে আন্দুলবাড়ীয়ার আবুশামার কথা কাটাকাটি হয়। ওই কথা কাটাকাটির জেরে আবুশামার হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র হেঁসো দিয়ে হারুনের চাচাতো ভাই গফুর ম-লের ছেলে রাশেদ ম-লকে কোপ মারলে তখন হারুন ম-ল, হাসান, ও রাশেদ আবুসামাকে মারধর করে। এতে আবুশামার শরীরও জখম হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুপক্ষের দুজনকে আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং চিকিৎসা শেষে দুপক্ষই জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে জীবননগর থানা।
মাহফুজ আলম জানান, দুপক্ষের দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছিলো। ওই ঘটনায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ ও হারুন মামা শ্বশুর সুবাদের কারণে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা করেছেন আবুশামা। আমি এর নিন্দা জানাচ্ছি। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। কারণ ঘটনার দিন আমি স্থানীয় তিতুদহ ক্যাম্পের এসআই মেজবার সাথে একটা সালিসে ছিলাম অথচ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে।