জীবননগর ব্যুরো: পবিত্র রমজান উপলক্ষে যখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো রোজাদারের কষ্ট লাঘবে পণ্যের মূল্য ছাড়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত ঠিক তখন উল্টো চিত্র বাংলাদেশে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতায় ব্যস্ত কীভাবে এই রমজানে দ্বিগুণ মুনাফা অর্জন করা যায়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের বাজারে ৩০ থেকে ৭০ ভাগ, আরব আমিরাতে ৪০ থেকে ৭০ ভাগ মালে মূল্য হ্রাস করা হয়েছে। জর্দান ৮০০ পণ্যের দাম কমিয়ে দিয়েছে। আরব আমিরাতে ১০ লাখ পরিবারকে রমজান উপলক্ষে বিশেষ সহায়তা দেয়া হলেও আমাদের দেশে এর চিত্র উল্টো। রমজানের প্রথম দিনে বাজারে ইফতার সামগ্রীর দাম যেভাবে হু-হু করে বাড়ানো হয়েছিলো তা এখনো কমানো হয়নি। ইফতার সামগ্রীর দাম না কমাতে দিশেহারা রোজাদারেরা। প্রশ্ন উঠেছে, দাম আবার কমবে কবে?
জীবননগর কাঁচা বাজার পরিদর্শনকালে জানা যায়, রোজা শুরু পূর্বের দিন বেগুন ৩০ টাকা কেজি, পটল ৪০ টাকা কেজি, কলা ৩০ টাকা কেজি, উচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিলো। রোজার দিন তা বৃদ্ধি পেয়ে বেগুন ৮০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, কলা ৪০ টাকা, ঢেড়শ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বৃদ্ধি পেয়েছে খিরখেজুর, চিনি, আখের গুড়, মুড়ি, লেবু, গরু ও খাসির মাংস, বয়লার ও দেশি মুরগি এবং বিলের মাছের। প্রভাব পড়েছে ছোলার ঘুগনি, বেগুনি, পিয়াজু ও আলুর চপের দামে। ৫টি রোজা পার হলেও এখনো দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। এদিকে গত ৫ দিনেও বাজারে কোনো মনিটরিং টিমকে কাজ করতে দেখা যায়নি। আশাবুল হক জানালেন, বাজারের যেভাবে ইফতারীসহ অন্যান্য পণ্যেও মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে ক্রেতাদের নাভিশ^াস উঠেছে।