জমজ দু বোনসহ এমবিবিএস অধ্যয়নের যোগ্যতা অর্জন করেছে ২১ জন
মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীদের এবারও শক্ত অবস্থান
আব্দুস সালাম: বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় এবারও চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীরা সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। জমজ দু বোনসহ এবার চুয়াডাঙ্গার ২১ জন মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে বলে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে। ভর্তি পরীক্ষায় শহরের তুলনায় স্কুল পর্যায়ে গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সাফল্যই বেশি। ভর্তির যোগ্যতা অর্জনকারিদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ১৩ জন ও আলমডাঙ্গা সরকারি করেজের ৬ জন রয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা গত ১ এপ্রিল নেয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। কোন জেলার কতজন শিক্ষার্থী ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে তা সুনিদিষ্ঠভাবে জানা না গেলেও বিভিন্ন সূত্রের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার শিক্ষার্থীদের মধ্যে এবারও ২১ জন ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজে একজন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেলে দুজন, শহীদ সোহরাওয়ার্দীতে একজন রয়েছে। চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থী বিভিন্ন মেডিকেলে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনের পরও তাদের তথ্য না পাওয়ার কারণে দু একজনের নাম বাদ পড়তে পারে।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজপাড়ার নাছির উদ্দীন ও নাজমুন্নাহারের জমজ দু কন্যা মাহমুদ তারিন ও তহমিদা তাজিন মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জমজ দুজন চিকিৎসক হবেন। তবে দুবোন একই কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ করতে পারেনি। তারিন ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ও তাজিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে। দু বোনই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পেয়েছে। এসএসসি পরীক্ষা দেয় চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে। এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে। জমজ দু বোনের পিতা নাছির উদ্দীন ইসলামী ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা শাখায় কর্মরত। মা গৃহিনী। ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে মো. সৌভিক ইসলাম। সে দামড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুরের মো. শফিকুল ইসলাম মল্লিকের ছেলে। তিনি ঢাকাতেই থাকেন। সৌভিক এসএসসি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবং এইচএসসি নটরডেম কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। এবার ঢাকা মেডিকেলে ভর্তির যোগ্যতা অর্জনের গৌরব অর্জন করে সৌভিক চুয়াডাঙ্গার মুখ উজ্জল করেছে। ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে মিরাজ আহম্মেদ। সে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের ডিঙ্গেদহের মো. মোফাজ্জেল হোসেন ও মোছা. নিতু হোসেনের ছেলে। মিরাজ চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে। ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে জেবা ফারিয়া তমা। সে আলমডাঙ্গার আসমানখালীর মোহা. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও মোছা. ডলি খাতুনের মেয়ে। আসমানখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি উর্ত্তীণ হয়ে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা দর্শনার রোনগোহাইলের মওলা বিশ^াস ও খাদিজা পারভিনের ছেলে মো. ওয়ালিদ ইসলাম। রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের জাফরপুরের মো. মাজেদুল ইসলাম ও মোছা. শিরিনা খাতুনের ছেলে মো. সজিব আহমেদ। রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের উথলী সেনেরহুদার মো. বশির উদ্দীন ও মোছা. রশিদা বেগমের মেয়ে মোছা. বনি আক্তার বর্ষা। বরিশাল মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার মো. বাহাউদ্দীন ও মোছা. শামীমা আক্তারের মেয়ে নিশাত তাবাচ্ছুম। খুলনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে চুয়াডাঙ্গা মাস্টারপাড়ার মো. মিজানুর রহমান ও মোছা. দিলরুবা ফেরদৌসের মেয়ে নাজিফা নূর ঐশি। একই কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বেগমপুর কলনীপাড়ার মো. আহসানউল্লাহ ও মোছা. ফাহিমা খাতুনের ছেলে মো. আবু বকর সিদ্দিক। বগুড়া মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে চুয়াডাঙ্গা মোমিনপুর খেজুরতলার মো. হাশেম আলী ও মোছা, মুসলিমা খাতুনের ছেলে মো. ইকতার আলী। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে ৩ জন। এরা হলো, আলমডাঙ্গা গোবিন্দপুরের মো. মুনিয়ার রহমান ও মোছা. শিউলী খাতুনের মেয়ে তাসনীন নূর মিথিলা, একই উপজেলার বন্ডবিল উত্তরপাড়ার মো. আহাদ আলী ও মোছা. সাবিনা খাতুনের মেয়ে তাসনিম জাহান সোহানী ও একই উপজেলার কুমারীর মো. তোহুরুজ্জামান এবং মোছা. নাজমা খাতুনের মেয়ে নূরানী তাজমিরিন। যশোর মেডিকেলে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে চুয়াডাঙ্গা মহিলা কলেজ সড়কের মো. আহসান আলী ও মোছা. হামিদা খাতুনের মেয়ে লামইয়া আহসান তুলি। একই কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে হোসনে আরা রূপা। সে আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুরের মো. হাবিবুর রহমান ও মোছা. নিলুফা ইয়াসমিনের মেয়ে। কিশোরগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে আলমডাঙ্গা কোর্টপাড়ার মো. গোলাম সরোয়ার ও মোছা. মুরশিদা পারভিনের ছেলে ফারদিন নাইব। নাইব আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের ছেলে। মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে দামুড়হুদা গুলশানপাড়ার মো. ই¯্রাফিল হোসেন ও মোছা. আফরোজা খাতুনের মেয়ে মোছা. ইভানা হুসাইন রিমী। নীলফামারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করেছে চুয়াডাঙ্গার দুজন। এরা হলো, সরোজগঞ্জ বোয়ালিয়ার মো. আব্দুস সিদ্দিক ও হেলেনা আরজুর মেয়ে জারিন তাফান্নুম পায়েল এবং আলমডাঙ্গা মিয়াপাড়ার আফির উদ্দীন শাহ ও নাজমা আক্তার বানুর মেয়ে মিথিলা নাসরিন শানু।