রমজানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি পুনঃবিবেচনা হচ্ছে

 

স্টাফ রিপোর্টার: রমজানে মাধ্যমিক পর্যায়ে (স্কুল-কলেজ-কারিগরি স্কুল ও কলেজ) নিয়মিত পাঠদানের সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় সহসাই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে। আগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। এর আগে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত নিয়মিত ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছিলো। এখন রোজায় ক্লাস কমিয়ে ছুটি বাড়ানো হবে। রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে মাউশির কোনো ভ‚মিকা নেই। তবে এটুকু বলতে পারি ছুটি বাড়ানোর ব্যাপারে মন্ত্রণালয় নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছে। এ ব্যাপারে একটি পজিটিভ সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এর আগে গত ২৮ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব নজরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত নিয়মিত ক্লাস চালু রাখার কথা জানানো হয়েছিলো। অফিস আদেশে বলা হয়, করোনার কারণে দীর্ঘদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি প‚রণ করতে এ বিভাগের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান অব্যাহত রাখার অনুরোধ করা হলো।

এদিকে, ছুটির বিষয়ে শিক্ষা প্রশাসন বলছে, করোনাকালের বন্ধে শিখন ঘাটতি মোকাবিলায় রমজান মাসে ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলছেন, গরমে রোজা রেখে ক্লাস নেয়া অমানবিক। এতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে আসতে পারে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, রমজানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি শুরু হবে ২২ এপ্রিল থেকে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চলবে আগামী ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। এ অবস্থায় প্রাথমিকের সঙ্গে মিল রেখে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২২ এপ্রিল থেকে ছুটি দেয়ার চিন্তা করছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) স‚ত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়তে পারে। দু-একদিনের মধ্যে মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠক হতে পারে। সেখানে ছুটির বিষয়টি আলোচনা হবে।

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ আরও বলেন, ‘রমজানে ক্লাস চালু রাখলে কষ্ট বাড়বে। শিক্ষার্থীদের সিলেবাস সম্পন্ন না করে পরীক্ষায় বসানোও কষ্টকর। দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্লাসের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষাও আছে। তবে ছুটি কিছুটা এগিয়ে আনার চিন্তা-ভাবনা চলছে, মন্ত্রণালয়ও একমত হয়েছে। আলোচনা করে ছুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে।’

এর আগে গত শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেন, ‘রমজানে গরম, সবাই চাইছে ক্লাস বন্ধ রাখা হোক। এখন ক্লাস করা খুবই দরকার। দুই বছর ক্লাস হয়নি শ্রেণিকক্ষে। এখন ক্লাস করতে না পারলে সিলেবাস শেষ করা কষ্টকর হয়ে যাবে। তবে প্রাথমিকের সঙ্গে মিলিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ২২ এপ্রিল থেকে বন্ধ দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।’

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More