কেরুজ মিলগেটে অভিনব কৌশলে পাউয়ারট্রলিসহ প্লেনশিট ও রড চুরি

দর্শনা অফিস: কেরুজ চিনিকলকে আধুনিকায়ন করতে সরকার প্রচুর অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। শুধু সরকারের বরাদ্দই নয়, চিনিকল থেকেও বরাদ্দ দেয়া হয় এ কাজের জন্য। ২০১৬ সালে কেরুজ চিনিকল কারখানা আধুনিকায়নের কাজ পান বাংলাদেশ মেশিন টুলস কোম্পানি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত¡াবধানে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের বরাদ্দকৃত ৪৬ কোটি টাকার কাজ শুরু হয়। পরে পর্যায়ক্রমে এ টাকার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে আরও ৫১ কোটি টাকা। এছাড়া কেরুজ চিনিকল কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত ১০ কোটি বরাদ্দ দেয়। ফলে সর্বমোট ১০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিকায়নের কাজ চলছে এক প্রকার কচ্ছপগতিতেই। এ কাজের দেখভাল করেন নাসির উদ্দিন ও রেজা খান নামের জনৈক ব্যক্তি। অভিযোগ উঠেছে দীর্ঘদিন ধরে নাসির উদ্দিনের উদাসীনতার সুযোগ নিয়েছেন রেজা খান।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পাউয়ারট্রলি গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রেজা খানের নিয়ন্ত্রণাধীন দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুরের আব্দুর রহিমের ছেলে হাবিল উদ্দিন চিনিকলের প্রধান ফটক দিয়ে বের হচ্ছিলো। এ সময় গেটের প্রহরীদের সন্দেহ হলে পাউয়ারট্রলির গতিরোধ করে। এ সময় পাউয়ারট্রলি ফেলেই পালিয়ে যান হাবিল। মিলের নিরাপত্তা সদস্যরা পাউয়ারট্রলি তল্লাশি চালিয়ে অভিনব কৌশলে সেটিংরত অবস্থায় উদ্ধার লোহার প্লেনশিট ও প্রচুর পরিমাণ ১৬ মিলি রড। উদ্ধারকৃত পাউয়ারট্রলি, প্লেনশিট ও রড নিরাপত্তাদের হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় মিল এলাকায় অনেকেই বলাবলি করতে শোনা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন পেয়ে রেজা খান কিভাবে ৪-৫ মাসের ব্যবধানে হঠাৎপাড়ায় আলিশান বাড়ি নির্মাণ করলেন? এ যেন বেড়ায় ক্ষেত খাওয়ার গল্পের মতো।

এছাড়া, আরও পড়ুনঃ

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More