কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ’র এই আধ্যাত্মিক বাণীর ¯েøাগানে দৌল-পুর্ণিমা উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়াবাড়ীতে তিনদিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ৮টায় লালন স্মরণোৎসব’র উদ্বোধন করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ইসমাইল হোসেন (এনডিসি)। এ উপলক্ষে লালন একাডেমির ম‚ল মঞ্চে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। লালন একাডেমীর সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম প্রমুখ। প্রধান আলোচক ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান। আলোচনা শেষে ম‚ল মঞ্চে একাডেমির শিল্পীরা লালন ফকিরের আধ্যাত্মিক গান পরিবেশন করেন। করোনা মহামারিতে সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে টানা দুই বছরে লালন স্মরণোৎসব ও লালন তিরোধান দিবসের ৪টি অনুষ্ঠানে আসতে না পারায় এবারের দৌল-উৎসবকে ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে লালন অনুসারী, ভক্ত আর দর্শনার্থীদের মধ্যে।
উল্লেখ্য, বাউল সম্রাট লালন শাহ তার জীবদ্দশায় ছেঁউড়িয়ার এই আখড়াবাড়িতে প্রতি বছর চৈত্রের দৌলপ‚র্ণিমা রাতে বাউলদের নিয়ে সাধু সঙ্গ উৎসব করতেন। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক তার মৃত্যুর পরও এ উৎসব চালিয়ে আসছে তার অনুসারীরা। এবারও সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমি এ লালন স্মরণোৎসবের আয়োজন করেছে। ইতোমধ্যে আধ্যাত্মিক গুরু ফকির লালনকে স্মরণ ও নিজেকে চিনে সোনার মানুষ হতে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার লালন অনুসারী, ভক্ত আর দর্শনার্থীরা এখন আখড়াবাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। অন্যদিকে, আখড়াবাড়ী চত্বরে কালী নদীর তীরে মাঠে জমে উঠেছে লালন মেলা। উৎসবকে নির্বিঘœ করতে সিসি টিভি, ওয়াচ টাওয়ারসহ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। লালন উৎসব শেষ হবে আগামী ১৭ মার্চ রাতে।